আসন্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের প্রচারণায় বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার করে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করা হয়েছে বামজোটের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার দুপুরে ছাত্রলীগ সমর্থিত সম্মিলিত শিক্ষার্থী পরিষদের চেয়ারম্যান সনজিত চন্দ্র দাস ডাকসুর প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই ছাত্রজোটের প্যানেল থেকে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী ও ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দীর নেতৃত্বে বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করা হয় এবং নির্বাচনী প্রচারণা করা হয়।
এটি আচরণবিধির লঙ্ঘন বলে অভিযোগ করেন সনজিত চন্দ্র দাস।
তিনি চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন: তারা আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করেছে। আমরা এ বিষয়ে প্রশাসনকে অবহিত করেছি। প্রশাসন ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে। দীর্ঘদিন পর ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আমরা চাই না কোন গোষ্ঠীর অসদাচরণে নির্বাচনের পরিবেশ যেন ব্যাহত হয়।
এ বিষয়ে লিটন নন্দী বলেন: এটি কোনো ব্যান্ড পার্টি নয়। এটি আমাদের নিজস্ব গান। এটি মূলত গানের মিছিল ছিল। একটি প্যারেড ড্রাম ছিল যেটি সংগঠনের একজন কর্মী দিয়েই বাজানো হয়েছে। গানের তালে তালে গানের মিছিলের প্রোগ্রাম ছিল। যেটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রব্বানী চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন: আমরা একটি অভিযোগের কপি পেয়েছি। সত্যতা যাচাই করে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব। তবে সকলের কাছে আমাদের চাওয়া আপনারা আচরণবিধিটি ভালমতো পড়ুন। কেউ নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করবেন না।
ডাকসু নির্বাচনের আচরণবিধি ৩ (ক) ধারায় বলা হয়, কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তার পক্ষে মনোনয়নপত্র জমাদান, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার বা নির্বাচনী প্রচারণায় কোনো ধরনের যানবাহন, মোটরসাইকেল, রিকশা, ঘোড়ার গাড়ি, হাতি, ব্যান্ড পার্টি ইত্যাদি নিয়ে কোনোরূপ শোভাযাত্রা, শোডাউন বা মিছিল করতে পারবেন না।