ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠানের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
সেই সঙ্গে ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানে নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি হবে না, তাও রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে।
ডাকসুর সাবেক ভিপি, সাধারণ সম্পাদক ও একজন শিক্ষার্থীর করা রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানিতে বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান।
দীর্ঘ প্রায় ২৭ বছর ডাকসু নির্বাচন হয়নি। এ ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০তম সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য আবদুল হামিদ বলেছিলেন: ডাকসু নির্বাচন না থাকায় দেশ নেতৃত্ব শুন্যতার দিকে যাচ্ছে।
রাষ্ট্রপতির বক্তব্যের সঙ্গে একমত রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, ২৭ বছর নির্বাচন না হওয়ায় ইতোমধ্যে অপ-নেতৃত্বের বিকাশ হয়েছে।
তাদের মতে ডাকসু কার্যকর থাকার সময়কালে মেধা, প্রতিভা ও নেতৃত্ব গুণসম্পন্ন অনেক নেতার বিকাশ ঘটেছিলো। গত ২৭ বছর নির্বাচন না হওয়ায় যে কারণে দেশে প্রকৃত নেতৃত্বের বিকাশ হয়নি।
ডাকসু নির্বাচন না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ টি হল সংসদও নির্জীব হয়ে আছে।