ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতাসীনরা (ছাত্রলীগ) ক্যাম্পাসে দখলদারিত্বকে বৈধ করে নেবে বলে মনে করছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে ভোটকেন্দ্র প্রশাসনিক ভবনে রাখার দাবিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তারা।
সংবাদ সম্মেলন থেকে ডাকসুর তফসিল ঘোষণার আগেই ডাকসু ও হল সংসদ ফি প্রদানকারী শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার বিধান যুক্ত, ভোটকেন্দ্র হলে না রেখে নিকটস্থ একাডেমিক ভবনে করা ও হলে প্রয়োজনের ভিত্তিতে সিট বণ্টন নিশ্চিত করে প্রশাসনিক কর্তৃত্ব কায়েমের দাবি জানান জোটের নেতারা।
এসকল দাবিতে আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ছাত্রজোট ক্যাম্পাসে একটি বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচী করবে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রগতিশীল ছাত্রজোটের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ শাহরিয়ার। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এ স্বায়ত্তশাসনের ধারণা কাগজে কলমে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। দলীয় বিবেচনায় উপাচার্য ও শিক্ষক নিয়োগ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সায়ত্তশাসনকে ক্ষুণ্ণ করা হয়েছে। ফলে দলীয় বিবেচনায় নিয়োগপ্রাপ্ত প্রশাসন দলের এজেন্ডা বাস্তবায়নেই তৎপর রয়েছেন। প্রশাসনের ছাত্র অধিকার পরিপন্থী সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক পরিবেশকে নষ্ট করছে। শিক্ষার্থীরা তাদের অধিকার থেকেই বঞ্চিত হচ্ছে। এ অবস্থায় ডাকসু নির্বাচনের জন্য সর্বপ্রথম প্রয়োজন হলো ক্যাম্পাসে ও হলে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নির্মাণ ও সহাবস্থান নিশ্চিত করা। কিন্তু এ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের এক্ষেত্রে দৃশ্যমান কোনো তৎপরতা আমাদের চোখে পড়েনি। বরং প্রশাসন ক্ষমতাসীন ছাত্রলীগের সুরেই সুর মিলিয়েছেন। যা আমাদের হতাশ করেছে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের জিএম জিলানী শুভ, সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি ইমরান হাবিব রুমন, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা, বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর সহ-সভাপতি সাদিকুল ইসলাম সোহেল প্রমুখ।