ডাউনপেমেন্ট ছাড়াই কৃষি ঋণ পুনঃতফসিল করা যাবে। পুনঃতফসিলের পর আবারও নতুন করে ঋণ নিতে পারবেন কৃষক। করোনা পরিস্থিতিতেও কৃষির উৎপাদন অব্যাহত রাখতে এই সুযোগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, ২০২০ সাল থেকে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। যার কারণে দেশের অন্যান্য খাতের মতো কৃষি খাতের উৎপাদন ও বিপণন কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে। এর ফলে কৃষকদের পক্ষে তাদের ব্যাংক ঋণ নিয়মিতভাবে পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। কৃষি ঋণ খেলাপি ঋণে পরিণত হলে কৃষি খাতে নতুন অর্থায়ন বিঘ্নিত হয়ে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে। এতে করে জিডিপি প্রবৃদ্ধিতেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশংকা রয়েছে।
কৃষি খাতে খেলাপি ঋণ হ্রাস ও নিরবচ্ছিন্ন ঋণ সরবরাহ নিশ্চিত করে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিকল্পে স্বল্প মেয়াদি কৃষি ঋণ পুর্নতফসিলের ক্ষেত্রে কিছু নির্দেশনাও দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
নির্দেশনাগুলো হলো
ক. ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ডাউন পেমেন্ট গ্রহণের শর্ত শিথিল করে স্বল্প মেয়াদি কৃষি ঋণ পুনঃতফসিলের তারিখ থেকে সর্বোচ্চ দুই বছর মেয়াদে পুনঃতফসিল করা যাবে। ক্ষেত্র বিশেষে বিনা ডাউনপেমেন্টেও এ ধরনের ঋণ পুনঃতফসিল করা যাবে।
খ. ঋণ পুনঃতফসিলের পর কৃষকদের পুনরায় নতুন করে স্বল্প মেয়াদি কৃষি ঋণ প্রদান করা যাবে। এক্ষেত্রে কোনো নতুন জমা ব্যতিরেকেই পুনঃতফসিল পরবর্তী নতুন ঋণ সুবিধা প্রদান করা যাবে।
গ. সার্টিফিকেট মামলা চলাকালীন সময়ে গ্রাহকের সাথে সমঝোতার (সোলেনামা) মাধ্যমে সার্টিফিকেট মামলা উত্তোলন/নিষ্পত্তিপূর্বক ঋণ পুনঃতফসিল করা যাবে।
ঘ. ইতোপূর্বে পুনঃতফসিলকৃত স্বল্প মেয়াদি কৃষি ঋণের ক্ষেত্রেও উল্লিখিত সুবিধাদি প্রযোজ্য হবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই নির্দেশনা বলবৎ থাকবে।