এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
ডলার কেনাবেচায় বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত দর মানছে না বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অধিকাংশ ব্যাংকগুলো প্রবাস আয় বা রেমিট্যান্স কিনছে ১১৯ টাকায় আর আমদানি জন্য খোলা এলসিতে (ঋণপত্র) রাখছে ১২০ টাকা বা তার বেশি।
যদিও এলসি খোলাতে বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারিত সর্বোচ্চ রেট ১১৭ টাকা ৮০ পয়সা এবং সর্বনিম্ন রেট ১১৭ টাকা ৪৫ পয়সা।
ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা বলছেন: বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত দামে ডলার পাওয়া যাচ্ছে না। তাই বাড়তি দামে ডলার কিনতে হচ্ছে। বেশি দামে কেনার কারণে বিক্রিটাও বাড়তি দরে করতে হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের ট্রেজারিপ্রধান বলছেন: ক্রলিং পেগ রেটে বেধে দেওয়া দরে ব্যাংকগুলো প্রথম এক সপ্তাহ লেনদেন করেছে। কিন্তু ওই দরে ডলার না পাওয়ায় সকলেই বাড়তি দর যুক্ত করে ডলার কিনছে। বৃহস্পতিবারও ১১৮ টাকা ৫০ পয়সা থেকে শুরু করে ১১৯ টাকা পর্যন্ত রেমিট্যান্স কিনেছে ব্যাংকগুলো।
![](https://i0.wp.com/www.channelionline.com/wp-content/uploads/2024/02/Channeliadds-Reneta-16-04-2024.gif?fit=300%2C250&ssl=1)
তবে এই বাড়তি দরে ডলার ক্রয়-বিক্রয়ের বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকে দেওয়া রিপোর্টে উল্লেখ করছে না। নির্ধারিত দরে ক্রয়-বিক্রয়ের রিপোর্ট করা হচ্ছে।
তিনি বলছেন: বাজার আবার আগের অবস্থায় ফিরছে। আগের টাকার বিপরীতে ডলারের বিনিময় মূল্য ১১০ টাকা ছিলো, তখন কেউ সে দরে ডলার কেনাবেচা করেনি। মার্কেটে ডলারের দাম বেশি। বাড়তি দামে ডলার কিনে কেউ কমে বিক্রি করবে না। আবার খোলাবাজারে বেশি দাম পেলে ব্যাংকে আসছে না।
উল্লেখ্য, ডলারের দর বাজারভিত্তিক করতে গত ৮ মার্চ ক্রলিং পেগ পদ্ধতি চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। যেখানে একলাফে ৭ টাকা বাড়ানো হয় ডলারের দাম।
ক্রলিং পেগ পদ্ধতির আওতায় ডলারের মধ্যবর্তী একটি দাম নির্ধারণ করে ব্যাংকগুলোকে এই দরের আশপাশে স্বাধীনভাবে লেনদেন করতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মধ্যবর্তী এই দর নির্ধারণ করা হয়েছে ১১৭ টাকা। তবে মৌখিকভাবে ব্যাংকগুলোকে এক টাকা কমবেশি করার নির্দেশ দিয়েছে।
অর্থনৈতিক সংকট রোধে আইএমএফের শর্ত মেনে ডলারের নতুন পদ্ধতি চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক।