বাজারদরের চেয়ে সরকারি দাম কম হওয়ায় ঠাকুরগাঁওয়ে এবারে বোরো মৌসুমের চাল সংগ্রহ অভিযানে সাড়া দিচ্ছেন না মিল মালিকরা। তারা বলছেন, সরকারের কাছে চাল বিক্রি করে প্রতি কেজিতে তাদের লোকসান গুণতে হয় তিন থেকে চার টাকা।
চলতি বোরো মৌসুমে ঠাকুরগাঁওয়ে চাল সংগ্রহ অভিযানের লক্ষ্য ধরা হয় ৩৭ হাজার মেট্রিক টন। জেলায় ১৮শ’ মিল থাকলেও সরকারের কাছে চাল দিতে আগ্রহী হয়েছেন আটশ’ তিন জন মিল মালিক। দুই মে থেকে শুরু হওয়া এ অভিযানে এ পর্যন্ত ১২টি ক্রয় কেন্দ্রে মাত্র ছয়শ’ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে।
মিল মালিকরা বলছেন, হাওর অঞ্চলে দুর্যোগ আর জেলায় ব্লাস্ট রোগে ধানের ফলন কম হওয়ায় হাটবাজারে ধানের সরবরাহ কম। তাই ধানের বাজার ঊর্ধ্বমুখী। বাজার দরের সাথে সরকারি ক্রয় মূল্যে তফাৎ থাকায় প্রতি কেজিতে চার টাকা পর্যন্ত লোকসান গুনছেন তারা।
সরকারের কাছে ভর্তুকিসহ নতুন পরিকল্পনা গ্রহণের দাবি মিল মালিকদের। তা না হলে এবার চাল সংগ্রহ অভিযান ব্যর্থ হবে বলে মনে করছেন মিল মালিকরা।
চুক্তিবদ্ধ মিল মালিকরা সময়মতো চাল সরবরাহ করবেন। এতে সফল হবে এবারের চাল সংগ্রহ অভিযান অভিমত জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের।
প্রতি কেজি ৩৪ টাকা সরকারি দরে চলতি মৌসুমের চাল সংগ্রহ অভিযান শেষ হবে ৩১ আগস্ট।
আরও দেখুন সুদীপ্তা মাহমুদের ভিডিও রিপোর্টে: