চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ থেকেই প্রচন্ড দাবদাহে পুড়ছে ঠাকুরগাঁও জেলার বেশিরভাগ আমন ক্ষেত। শুকিয়ে গেছে খাল-বিল নদী নালার পানি। ক্ষেতের ধান বাঁচাতে বাড়তি সেচ দিচ্ছেন অনেক কৃষক। কিন্তু বৈরি আবহাওয়ায় ক্ষেতে বেড়েছে পোকার উপদ্রব।
স্থানীয় কয়েকজন কৃষক বলেন, পানির ব্যবস্থা নাই। একমাস ধরে বৃষ্টি নাই। তাই ধান বের হচ্ছে না। ধান পোকায় খায়। তার উপর ক্ষরায় জ্বলে যাচ্ছে।
প্রত্যন্ত এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় চালু করা যাচ্ছে না গভীর নলকূপ। এ অবস্থায় শ্যালো মেশিন দিয়ে সেচ দিচ্ছেন অনেক কৃষক।
ঠাকুরগাঁও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহা ব্যবস্থাপক খালেকুজ্জামান বলেন, যারা ডিফল্টার কিংবা স্বেচ্ছায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে রাখছে তাদেরটা বিচ্ছিন্ন থাকতে পারে। তবে তারা বকেয়া পরিশোধ করে যেকোন সময় সংযোগ চাইলে আমরা সংযোগ দিবো।
চলতি মৌসুমে জেলায় এক লাখ ২৯ হাজার ৭১২ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে স্থানীয় কৃষিবিভাগ। এ পর্যন্ত আবাদ হয়েছে ৯৮ হাজার হেক্টরে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আরশেদ আলী বলেন, ইতিমধ্যে আমরা মাঠে জরিপের মাধ্যমে যে রোগগুলা আছে তা শণাক্ত করতে পেরেছি। তা প্রতিকারের জন্য আমাদের সহকারী কিছু কর্মকর্তা মাঠে সার্বক্ষণিক কাজ করছে।