ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চামেশ্বরী গ্রামের মেহেদী আহসান উল্লাহ্ চৌধুরী বিভিন্ন ফল ফসল আবাদ করে এলাকায় সাড়া ফেলেছেন বেশ আগে। এবার সাত একর জমিতে করলার আবাদ করেন তিনি। মানসম্মত বীজ ব্যবহার ও নিবিঢ় পরিচর্যায় করলার ভালো ফলন পেয়েছেন তিনি।
ঠাকুরগাঁওয়ের এক কৃষক বলেন, আশি থেকে এক লাখ টাকা খরচ আশা করছি এক থেকে দেড় লাখ টাকা প্রতি একরে লাভ হবে। আবহাওয়া নিয়ন্ত্রনে থাকলে লাভ আরো ভালো হবে।
এখানকার বাজারে প্রতি কেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৫৭ টাকায়। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে উৎপাদিত করলা সরবরাহ হচ্ছে ঢাকার কারওয়ান বাজারসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। ঠাকুরগাঁওয়ের এক সবজি ব্যবসায়ী বলেনে, এখানে ৫৫ থেকে ৫৭ টাকায় কিনে ঢাকায় বিক্রি করি ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি।
এবার ঠাকুরগাঁওয়ে তিনশ’ ৪৪ হেক্টর জমিতে করলার আবাদ হয়েছে। ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আরশেদ আলী বলেন, প্রায় সাত একর জমিতে করলার চাষ করেছেন। এই করলার চাষ দেখে এলাকার অন্য চাষীরা করলা চাষে উৎসাহি হচ্ছেন। আগামীতে এই এলাকায় করলার আবাদ আরো বৃদ্ধি পাবে বলে আমরা আশা করছি।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ মৌসুমে উৎপাদিত করলা নভেম্বর মাস পর্যন্ত বিক্রি করা যাবে বলে জানিয়েছেন কৃষক।
তবে ঠাকুরগাঁওয়ে বিস্তীর্ণ জমিতে করলা চাষ করে আশাতীত সাফল্য পেয়েছেন কৃষক মেহেদী আহ্সান উল্লাহ চৌধুরী। তার সাফল্য দেখে এলাকার অনেকেই আগ্রহী হয়েছেন করলা আবাদে।