“কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনীতে, কৃষি বিষয়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সেচ প্রকল্পের উদ্বোধন করছেন। স্বচ্ছ ভারত অভিযানকে এগিয়েও নিচ্ছেন তিনি।” ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) কৃষি বিষয়ক মন্ত্রী রাধা মোহন সিং নিরাপত্তা প্রহরায় জনসম্মুখে প্রস্রাব করছেন, এমন কয়েকটি ছবির সাথে ব্যঙ্গ করে এমনটিই লিখেছে লালু জাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দল।
ছবিগুলোর সাথে দলটির হিন্দিতে লেখা ক্যাপশনের অর্থটি ঠিক এমনই।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বচ্ছ ভারত অভিযান দেশটিতে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। ঠিক এমন এক সময়ে তার দলেরই একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এমন বিব্রতকর ছবি নিঃসন্দেহে হতাশাজনক। আর তা কাজে লাগাতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেনি বিরোধী দল।
নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কয়েকজনকে পাশে দাড় করিয়ে রেখে মন্ত্রীর প্রস্রাব করার কয়েকটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে হাস্যরসের সৃষ্টি করেছে, যা মূলত লালু জাদবের দলের টুইটের পরই ছড়িয়ে পড়ে। ছবিগুলো একই সাথে প্রধানমন্ত্রীর স্বচ্ছতা অভিযানের অসাড়তাও প্রকট করে তোলে।
বিহারের এই মন্ত্রী রাধা মোহন সিং ঈদ উপলক্ষে তার নির্বাচনী এলাকা মতিহারি ভ্রমণে গিয়েছিলেন। সোমবার তিনি দিল্লি ফিরে আসেন। তিনি দাবি করেন, সেই এলাকায় কোন টয়লেট না থাকাতেই তিনি বাধ্য হয়ে রাস্তার পাশে প্রস্রাব করেন।
স্বচ্ছ ভারত অভিযান বাস্তবায়নে অনেক পিছিয়ে থাকা রাজ্যগুলোর একটি বিহার। এখানে টয়লেট থাকা বাড়ির সংখ্যা শুধুই কমই নয়, উত্তর প্রদেশ এবং অডিশার মতো পাবলিক টয়লেট সুবিধার দিক দিয়েও সবচেয়ে পিছিয়ে রাজ্যটি।
২০১৪ সালের ২ অক্টোবর দিল্লির ইন্ডিয়া গেট থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বচ্ছ ভারত অভিযান শুরু করেন। এরপর থেকে লাখ লাখ জনগণ এতে যোগ দেয়। বাড়িতে টয়লেট না থাকলে বিয়ে করতেও অস্বীকৃতি জানায় কনেরা, গ্রামগুলোতেও নিজ খরচে পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করা হয়, মুম্বাইয়ের অধিবাসীরা নিজেদের উদ্যোগে সৈকত পরিষ্কার করে এবং দিল্লিতে দুইজনকে জনসম্মুখে প্রস্রাব করা থেকে বিরত করতে গিয়ে প্রহারের শিকার হয়ে নিহত হন একজন।
খুদে ব্লগ লেখার জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যম টুইটারে অনেকেই মন্ত্রী রাধা মোহনকে তীব্র ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করছেন। অন্যান্য বিরোধী দলীয় নেতারাও তার সমালোচনা করছেন। জনতা দলের মুখপাত্র আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম এপি’কে জানান, এই মন্ত্রীই স্বচ্ছ ভারত অভিযানের অসাড়তা প্রকাশ করে দিলো।