করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে বাজারে টয়লেট টিস্যুর ঘাটতির খবরের পর ক্রেতাদের টয়লেট টিস্যু কেনা সীমিত করতে নিরাপত্তাকর্মী পাহারা বসিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের উলওর্থস নামের একটি শপিং মল।
টয়লেট টিস্যুর স্বল্পতা নিয়ে দুই মহিলার মধ্যে হাতাহাতির ঘটনার ঠিক একদিন পরই নিরাপত্তাকর্মী পাহারা বসানো হল।
উলওর্থসের মূখপাত্র অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে বলেন, কাস্টমার সার্ভিস ডেস্ক থেকে টয়লেট পেপার হস্তান্তর করা আমাদের ‘নীতি নয়’। ওই ডেস্কে থেকে শুধু হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেয়া হয়। আজকে সকাল থেকে অনলাইন এবং স্টোর থেকে প্রতি ট্রানজেকশনে এক প্যাকেটের বেশি কোনো ক্রেতাকে দেয়া হবে না।
‘আমাদের সকল ক্রেতা বিশেষ করে বয়স্ক এবং যাদের এক সঙ্গে অনেক প্যাকেট কেনার সামর্থ নেই তাদের কথা বিবেচনা করেই এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’
করোনা ভাইরাসের কারণে অস্ট্রেলিয়াজুড়ে টয়লেট টিস্যুর ভয়াবহ স্বল্পতা দেখা দিয়েছে। গতকালও প্রতিজন দুই প্যাকেট টয়লেট টিস্যু নেয়ার সুযোগ দিয়েছিল ওই স্টোর।
গত শনিবার সিডনির উলওর্থস স্টোরে টয়লেট টিস্যু কিনতে এসে ৪৯ বছরের এক নারী লাঞ্ছিত হন।
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উলওর্থস নামের দোকানে একজন বৃদ্ধা মহিলা র্যাকে থাকা সবগুলো টয়লেট টিস্যু নিয়ে ট্রলি ভর্তি করে কাউন্টারের দিকে যাচ্ছিলেন, সেসময় আরেক মহিলা এক প্যাকেট টয়লেট টিস্যু চাইলে দু’জনে বাকবিতণ্ডায় জড়ায়। এক পর্যায়ে ওই বৃদ্ধা মহিলা আরেকজনের গালে চড় মারেন। পরে দোকানের কর্মরতরা এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। ওই ঘটনায় সেখানে পুলিশও ডাকা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, তুচ্ছ বিষয়ে এমন ঘটনার প্রয়োজন ছিল না। হাতাহাতিতে জড়ানোর অভিযোগে ওই দুই নারীকে আগামী ২৮ এপ্রিল নিউ সাউথ ওয়েলসের আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে।
দুই নারীর এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর অনেকেই ভিডিওটাকে প্র্যাঙ্ক ভিডিও ভাবা শুরু করেছিলেন।
নিউ সাউথ ওয়েলসের পুলিশ কর্মকর্তা অ্যান্ডু জানান, হাতাহাতির বিষয়টা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য না। গ্রাহকদের আরো ধৈর্যশীল পরিচয় দেওয়া উচিত ছিল। আর এমন কোনো অবস্থা তৈরি হয়নি যে টয়লেট টিস্যু স্টক করতে হবে।