রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফোনালাপ করেছেন। ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর এই প্রথম দুই প্রেসিডেন্ট ফোনালাপ করলেন। তাদের ফোনালাপে অগ্রাধিকার পেয়েছে সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ। ক্রেমলিন থেকে দেয়া বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
এতে আরো বলা হয়েছে, উভয় প্রেসিডেন্ট রাশিয়া এবং আমেরিকার মধ্যে যথার্থ সমন্বয় স্থাপনের পক্ষে কথা বলেছেন। সিরিয়ায় আইএসসহ অন্যান্য জঙ্গিদের পরাজিত করার জন্য এ সমন্বয়ের কথা বলেন তারা। এছাড়া উভয় প্রেসিডেন্ট নিয়মিত ব্যক্তিগত যোগাযোগ বজায় রাখতে সম্মত হয়েছেন বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, পুতিন এবং ট্রাম্প ব্যক্তিগত সাক্ষাতের সম্ভাব্য তারিখ ও স্থান নির্ধারণের বিষয়েও সম্মত হয়েছেন। গত সপ্তাহে ক্রেমলিন বলেছিল, ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে প্রস্তুত রয়েছেন পুতিন। তবে এ জাতীয় বৈঠকের জন্য প্রস্তুতির জন্য কিছুটা সময়ের প্রয়োজন রয়েছে।
রাশিয়া বলেছে, ‘দুই নেতা প্রধান হুমকি তথা আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে একসঙ্গে কাজ করাকে একটি প্রধান অগ্রাধিকার হিসেবে বিবেচনা করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
তবে রাশিয়ার বর্ণিত আলাপচারিতার বর্ণনায় রাশিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক অবরোধের ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি। সাম্প্রতিক সময়ে এ নিয়ে অনেক আলোচনা চলছে। রাশিয়ান নীতির কড়া সমালোচক ও আর্মড সার্ভিসেস কমিটির চেয়ারম্যান সিনেটর জন ম্যাককেইন ট্রাম্পকে এ নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার ব্যাপারে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
হোয়াইট হাউজ বলেছে, মেরামতের প্রয়োজন এমন একটি সম্পর্ককে উন্নতির দিকে নিতে এটি একটি তাৎপর্যপূর্ণ সূচনা। ট্রাম্প একই দিন জাপান, জার্মানি, ফ্রান্স ও অস্ট্রেলিয়ার নেতাদের সঙ্গেও কথা বলেন।