চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

ট্রাম্পের সমালোচনা করলেও ছেলে ব্যারনের পাশে চেলসি ক্লিনটন

আর দশটি শিশুর মতো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ১০ বছর বয়সী ছেলে ব্যারনেরও ‘শৈশব যাপনের সুযোগ থাকা উচিত’ বলে ফেসবুকে মন্তব্য করে ব্যারন ট্রাম্পকে আগলে রাখলেন সাবেক ফার্স্ট ডটার চেলসি ক্লিনটন।

ব্যারনের বাবা ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অবশ্য ছাড় দেননি সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনকন্যা। শিশুদের জন্য ক্ষতিকর নীতি থেকে নতুন প্রেসিডেন্টকে বিরত রাখতে সবাইকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

সামাজিক মাধ্যমে বিদ্রুপের শিকার একজন শিশুকে সমর্থনসূচক পোস্টের এমন রাজনৈতিক রূপ ধারণকে ‘ভণ্ডামি’ বলে সমালোচনা করছেন কেউ কেউ। অনেকে আবার ট্রাম্পের কাছে এবারের নির্বাচনী লড়াইয়ে হেরে যাওয়া হিলারিকন্যা চেলসির প্রশংসায় হয়েছেন পঞ্চমুখ।

বিশ্বকে চমকে দিয়ে বিশ্বের ক্ষমতাধর রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়া ট্রাম্প শপথ নিয়েছেন শুক্রবার। সেদিনের অভিষেক অনুষ্ঠানের সময়ই ব্যারনের ছবি নিয়ে বিদ্রুপ করা হয়। বিদ্রুপকারীদের একজন স্যাটারডে নাইট লাইভের ক্যাটি রিচ। ব্যারনকে কটাক্ষ করে তিনি লিখেন, ‘সে দেশটির প্রথম হোমস্কুল শ্যুটার হবে।’

শুধু তাই নয় আরও অনেক ভয়াবহ আক্রমণের মুখে পড়তে হয় শিশুটিকে।

এর আগে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণার সময় ব্যারনকে রোজি ও’ডোনেলের মতো তারকারা অটিস্টিক বলে উপহাস করেছিলেন। আরও অনেক তারকা ব্যারনকে আক্রমণে পিছিয়ে থাকেননি। ফলে সেসময়ও তোপের মুখে পড়তে হয়েছিলো ওই তারকাদের।

শুক্রবারের পোস্টের পর ক্যাটি রিচও তীব্র সমালোচনার মুখে তা মুছে দেন, নিজের অ্যাকাউন্টটিও প্রাইভেট করেন।

বাবা বিল ক্লিনটন যখন ১৯৯৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হন, চেলসির বয়স তখন ১৩ বছর। এরপর (১৯৯৩-২০০১) আট বছর হোয়াইট হাউসে থাকা চেলসির শৈশবের একটি দীর্ঘ সময়ই কেটেছে সেখানে। স্পটলাইটে থাকার সেই সময়টিতে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ার অভিজ্ঞতাও রয়েছে তার, তাই তিনি জানেন ফার্স্ট চাইল্ড হওয়ার যন্ত্রণা।

চেলসি রোববারের এক ফেসবুক পোস্টে ব্যারনকে বিদ্রুপ না করার জন্য বলেন। কিন্তু একইসঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরোধিতায়ও সক্রিয় হতে বলেন।

চেলসির বাবা তখন প্রেসিডেন্ট

চেলসির সমালোচকরা বলছেন, একই পোস্টে ছেলের শৈশব নিয়ে কথা বলা আর তার বাবার নীতি নিয়ে বিরোধিতা করা ভণ্ডামি। ফেসবুকে রবিন হ্যারিসন নামের একজন ব্যবহারকারীর এমন মত। আবার অনেকেই বলেন, আপনি কি শিশুর পক্ষে দাঁড়ালেন নাকি একে রাজনৈতিক আক্রমণের হাতিয়ার করলে? টুইটারেও অনেকেও নিন্দা প্রকাশ করেন। মিক রুসোম টুইট করেন, দুই ধরণের কথা বরং আলাদা দুটি পোস্টে দিতে পারতেন তিনি।

অনেকেই আবার চেলসির এমন ‘দুর্দান্ত পদক্ষেপের’ প্রশংসা করেন। সকল শিশুর পক্ষে দাঁড়ানোর জন্য চেলসির প্রশংসা করেন তাওয়ানা জন নামের একজন ফেসবুক ইউজার। কোন রাজনৈতিক বিভেদ মাথায় না রেখে শিশুদের পক্ষে দাঁড়ানোর জন্য চেলসিকে ধন্যবাদ জানান সিনথিয়া মেডিনা। টুইটারেও অনেকে ইতিবাচক মন্তব্য করেন।