চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ট্রাম্পের কার্টুন এঁকে চাকরি হারালেন কার্টুনিস্ট

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে কার্টুন আঁকার কারণে চাকরি হারিয়েছেন কানাডার ফ্রিল্যান্স রাজনৈতিক কার্টুনিস্ট মাইকেল ডি অ্যাডা।

ডি অ্যাডা গত সপ্তাহে নিহত অভিবাসন প্রত্যাশী বাবা ও মেয়ের মরদেহের পাশে ডোনাল্ড ট্রাম্পের গলফ খেলার কার্টুন আঁকেন। ওই কার্টুনে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন প্রত্যাশী নিহত বাবা মেয়ের নিথর দেহ উপুড় হয়ে নদীর তীরে পানির মধ্যে পড়ে আছে। পাশ দিয়ে গলফ খেলতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যাওয়ার সময় ট্রাম্প নিহত বাবা-মেয়েকে বলছেন, ‘আমি যদি খেলি তোমরা কি কিছু মনে করবে?’

ট্রাম্পের ওই কার্টুন আঁকার পর তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে টুইটার এবং ফেসবুকে ভাইরাল হয়।

কার্টুনিস্ট মাইকেল ডি অ্যাডা বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব কানাডার রাজ্যগুলোর প্রধান দৈনিক পত্রিকাগুলোতে তার আঁকা কার্টুন ছাপা হতো। ট্রাম্পের কার্টুন আঁকার পর থেকে তার কোনো কার্টুন আর দৈনিকগুলোতে ছাপা হচ্ছে না।

তিনি আরো বলেন, কার্টুনের মানের উচ্চ ও নিম্নতা রয়েছে। আজকে আমি সব পত্রিকা থেকেই বিদায় নিতে বাধ্য হলাম।

প্রধান পত্রিকা নিউ ব্রান্সউইকসহ টেলিগ্রাফ জার্নাল, দি ডেইল গ্লেয়ানার এবং দি টাইমস অ্যান্ড ট্রান্সক্রিপ্ট পত্রিকাগুলো কোনো কারণ ছাড়াই তার কাজ আর গ্রহণ করছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি। 

গত ২৬ জুন যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন প্রত্যাশী বাবা তার মেয়েকে নিয়ে নদী পার হওয়ার সময় ডুবে মারা যায়। বাবা ও ছোট শিশুর নিথর দেহ উপুড় হয়ে নদীর তীরে পানির মধ্যে পড়ে আছে। মুখ থুবড়ে পড়ে থাকা তাদের এই ছবি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এর পরপরই এই ছবি বিশ্ব বিবেককে নাড়িয়ে দেয় আরেকবার।

নিহত আলবার্টো মার্টিনেজ (২৫) এল সলভাদরের বাসিন্দা। তিনি গত সোমবার স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে মেক্সিকান বর্ডার দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। আলবার্টো মার্টিনেজ রিও গ্রান্ডো নদী সাঁতরে তার স্ত্রীর কাছে আসছিলেন।

আলবার্টোর স্ত্রী তানিয়া লা জর্নাদা বলেন, চোখের সামনেই তিনি স্বামী ও বাচ্চাকে স্রোতে ডুবে যেতে দেখেন। পরে তাদের নিথর দেহ রিও গ্রান্ডে নদীর মেক্সিকোর মাতামোরোস অংশে ভেসে ওঠে। শিশুটির গায়ে লাল রঙের প্যান্ট, পায়ে জুতা এবং বাবার ঘাড়ে একটি হাত তখনও জড়িয়ে রেখেছে শিশুটি। মর্মস্পর্শী এই ছবিটি তুলেন মেক্সিকান ফটোগ্রাফার জুলিয়া লে ডাক।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বেশ কিছু বিতর্কিত সীমান্ত নীতির কারণে সীমান্তে ওই ধরণের মানবিক বিপর্যয় ও হতাহতের ঘটনা ঘটছে বলে মনে করেন সমালোচকরা।

এদিকে সমালোচকদের জবাবে গত বুধবার ট্রাম্প বলেন, ডেমোক্রেটদের জন্য সীমান্তে অভিবাসন প্রত্যাশীদের ভিড় বাড়ছে। অভিবাসীরা সীমান্ত পার হওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে।