যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিসংশন বিচার প্রক্রিয়া সাংবিধানিক উল্লেখ করে তা অব্যাহত রাখার পক্ষে মত দিয়েছে দেশটির সিনেট।
তবে ট্রাম্পের আইনজীবীরা যুক্তি তুলে ধরে বলেছে, হোয়াইট হাউজ ছাড়ার পর তাকে (ট্রাম্প) কোনো বিচারের মুখোমুখি করার সুযোগ নেই।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার পক্ষে মত দেন ৫৬ জন সিনেটর। যাদের মধ্যে কয়েকজন রিপাবলিকান সিনেটরও আছেন। অবশ্য ৪৪ জন এই সিদ্ধান্তের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন।
সাবেক এ প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে উস্কানীর অভিযোগ এনে তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজয়ের পর তিনি ব্যাপক জালিয়াতির অভিযোগ তোলেন। এরপর তার হাজার হাজার সমর্থক একত্রিত হয়ে দেশটির আইনসভা ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে হামলা চালায়।
অভিশংসন প্রক্রিয়ায় ডেমোক্র্যাট শিবিরি ট্রাম্পের ৬ জানুয়ারির ভাষণের একটি ভিডিও এবং তার সমর্থকদের কয়েকজনের তৈরি ‘মারাত্মক বিদ্রোহের প্রমাণ’ দেখিয়ে মঙ্গলবারের কার্যক্রম শুরু করেন।
সিনেটর জেমি রাসকিন বলেন, এটি খুব বড় অপরাধ এবং অপকর্ম। যদি এটা অভিসংশনের যোগ্য অপরাধ না হয়; তাহলে অপরাধকেই আর অপরাধ বলার সুযোগ থাকে না।
শুনানিতে ট্রাম্পের আইনজীবীরা বলেন, সাবেক একজন প্রেসিডেন্টকে এই প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে পাঠানো অসাংবিধানিক।
তারা ডেমোক্র্যাটদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত হওয়ার অভিযোগও তোলেন।
ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে হামলায় উস্কানির অভিযোগে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে গত ১৩ জানুয়ারি ট্রাম্পকে অভিশংসিত করে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে হলে তা সিনেটেও পাস হতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ট্রাম্পই একমাত্র প্রেসিডেন্ট, যিনি কংগ্রেস হাউজে দ্বিতীয় দফায় অভিশংসিত হয়েছেন।
প্রথম দফায় ২০১৯ সালে কংগ্রেস ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব পাশ করে। কিন্তু সিনেটে গিয়ে তা আটকে যায়। কারণ সেই সময় সেখানে রিপালিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল।
এর আগে ১৯৯৮ সালে বিল ক্লিনটন এবং ১৮৬৮ সালে অ্যান্ড্রু জনসনকে হাউকে অভিশংসিত করে কংগ্রেস। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রতিনিধি পরিষদের সেই সিদ্ধান্ত সিনেটে গিয়ে আটকে যায়।