উৎসবের আগে অথবা পরে, প্রতি বছর কোনো না কোনো দুর্ঘটনায় মানুষের প্রাণহানী বাংলাদেশের জন্য যেন নিয়মিত ঘটনা। লঞ্চডুবি, সড়ক দুর্ঘটনা, অগ্নিকাণ্ড, বিল্ডিং ধসের মত দুর্ঘটনায় প্রাণহানী হরহামেশা ঘটলেও গত রোজার ঈদের প্রাক্কালে গুলশানে নজিরবিহীন জঙ্গি হামলায় দুনিয়া জুড়ে বাংলাদেশ খবরের শিরোনাম হয়েছিলো। এর দু’মাস যেতে না যেতেই আবারও বাংলাদেশ শিরোনাম হলো ট্যাম্পাকো অগ্নিকাণ্ডে ৩০ জন নিরীহ শ্রমিকের প্রাণহানী ও অর্ধশতাধিক শ্রমিক আহতের ঘটনায়। নিখোঁজ আরও কয়েকজনের ভাগ্যে কী আছে উদ্ধারকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশংকা রয়েছে।
আশুলিয়ার তাজরিন গার্মেন্টসে অগ্নিকাণ্ড ও সাভারের রানা প্লাজা ধসে সহস্রাধিক শ্রমিকের মৃত্যুর পর বাংলাদেশের কারখানাগুলোতে নিরাপদ কর্ম পরিবেশের অনুপস্থিতি প্রশ্নে বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তির সংকট তৈরি হয়েছিলো। একর্ড-এলায়েন্সের চাপে রপ্তানীমুখী তৈরি পোষাক শিল্প সংশ্লিষ্টদের বিগত কয়েক বছরের প্রচেষ্টায় প্রায় সকল তৈরি পোষাক কারখানায় নিরাপদ কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করে হারিয়ে ফেলা ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের চেষ্টায় সবাই যখন মরিয়া তখন টঙ্গীর বিসিক শিল্পনগরীর ভেতরে ট্যাম্পাকো ফয়েলস লিমিটেড অগ্নিকাণ্ডে নিরীহ শ্রমিকদের এমন প্রাণহানীর হৃদয় বিদারক খবরে দুনিয়াজুড়ে বাংলাদেশ আবারও ভাবমূর্তির সংকটে পড়তে পারে, নিশ্চিত করে বলা যায়।
যদিও ট্যাম্পাকো রপ্তানীমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠন নয়। তারা ফয়েলে প্রিন্ট করে প্যাকিং পণ্য সরবরাহ করে দেশের কয়েকটি কনজিউমার প্রোডাক্ট প্রস্তুত ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে যারা বহুজাতিক ও স্থানীয় শীর্ষ শিল্প প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। আমরা তাদের নানাবিধ খাদ্যপণ্যের ভোক্তা। বিশেষ করে আমাদের শিশুখাদ্য থেকে শুরু করে রান্নাবান্নার অনেক উপকরণ কিনছি তাদের কাছ থেকে। ট্যাম্পাকো অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানীতে এর মালিক এবং সরকারি সংস্থার পাশাপাশি এসব নামকরা কোম্পানি যেমন দায় এড়াতে পারে না, তাদের পণ্যের ভোক্তা হিসেবে আমরাও কি আমাদের দায় সম্পর্কে সচেতন হয়েছি?
রপ্তানীমুখী তৈরি পোষাক শিল্পে কাজ করা শ্রমিক-কর্মচারীদের জন্য নিরাপদ কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করেছেন এ খাতের মালিকরা নিজেদের স্বার্থেই, ব্যবসায় ঠিক থাকতে। এখানে সরকারি সংস্থাগুলোর আদৌ কি ভূমিকা ছিলো তা কমবেশি সবার জানা আছে। এক্ষেত্রে মূল ভূমিকা পালন করেছেন আন্তর্জাতিক বাজারের তৈরি পোষাক ক্রেতা ও খুচরা বিক্রেতারা। বিশ্বব্যাপী তারা মিডিয়া এবং ভোক্তা বা এন্ড ইউজারদের নানামুখী চাপে ছিলেন। সাথে চাপ ছিলো ইন্ডাস্ট্রি অল এর মত শ্রমিক সংগঠনের যারা বিশ্বব্যাপী শ্রমিক স্বার্থ নিয়ে কাজ করে থাকে।
স্থানীয় বাজারের জন্য উৎপাদন বিপণনকারী ও তাদের সাপ্লাই চেইন কারখানাগুলোতে নিরাপদ কর্ম পরিবেশ, ন্যূনতম মজুরি নিশ্চিত করার জন্য কোনো পক্ষ থেকেই এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের চাপ পরিলক্ষিত হয়নি। স্থানীয় খাতের কারখানাগুলোকে বেসিক কম্প্লায়েন্সের আওতায় আনার বিষয়টি সরকার, ক্রেতা, শ্রমিক সংগঠন এমনকি ভোক্তা কারোরই মাথায় যে একেবারে ছিলো না বা নেই, তা ট্যাম্পাকো দুর্ঘটনায় সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর বিশ্লেষণ করলেই অনুমান করা কঠিন নয় যে, স্থানীয় বাজারের জন্য উৎপাদন খাতের সকল পর্যায়ে দুর্নীতি ও অবহেলাই হচ্ছে। ভয়াবহ এ প্রাণহানীর ঘটনা কেবল একটি উদাহরণ হয়ে সামনে আসেনি। দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা সীমাহীন অনিয়ম ও অনৈতিকতার নিদর্শনস্বরূপ আমাদের সামনে উপস্থিত হয়েছে।
সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী, ট্যাম্পাকো নামের ফয়েল প্রিন্টিং ও প্যাকেজিংয়ের এ কারখানা ভবনটি সত্তর দশকে নির্মাণ করা হয়েছিলো। পরিকল্পনাহীনভাবে ধীরে ধীরে ভবনটি বাড়ানো হয় কোনো ধরণের নিয়মনীতি না মেনে। এত বছর ধরে অবৈধভাবে কারখানাটি বাড়ানো হচ্ছিলো অথচ সরকারি কোনো সংস্থার নজরে আসেনি, বিষয়টি কি বিশ্বাসযোগ্য? অবশ্যই সংশ্লিষ্টদের নজরে ছিলো এবং তারা সুযোগ সুবিধা ভোগ করেছেন বা ঘুষ নিয়ে চুপ ছিলেন। একটি বিস্ফোরণে পুরো ভবনে আগুন ছড়িয়ে পড়ার পর ভবনে শ্রমিকদের আটকে পড়া, ও ভবন ধসের দায় কি সংশ্লিষ্টরা এড়াতে পারবেন? তারা কোনো সুযোগ সুবিধা নিয়ে অবৈধভাবে নির্মিত ভবনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া থেকে বিরত ছিলেন প্রশ্নটি উঁকি দিচ্ছে অনেকের মনে? এই হত্যাযজ্ঞের দায় কি তাদের নেই?
কারখানা ভবনটিতে কোনো জরুরী নির্গমন পথ ছিলো না। একটি মাত্র পথ দিয়ে সকল শ্রমিক কর্মচারীদের আসা যাওয়া করতে হতো। এর অর্থই হচ্ছে, নিরাপদ কর্ম পরিবেশের একেবারে সাধারণ কম্প্লায়েন্স ফায়ার সেফটিও মানা হয়নি এখানে। এমন একটি কারখানা কীভাবে ফায়ার লাইসেন্স পেয়েছিলো? ফায়ার লাইসেন্স প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কারখানা পরিদর্শন না করে ঘুষের বিনিময়ে লাইসেন্স প্রদান করার পুরনো অভিযোগটি নতুন করে আবারও সামনে এসেছে এ দুর্ঘটনায়। আগুনের মতো ভয়াবহ বিষয় নিয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্তাদের এ বিপজ্জনক খেলাও আতংক জাগানিয়া। আগুন নিয়ে খেলার পরিণতি যে কত ভয়াবহ আগুন নেভানোর কাজে নিয়োজিতরা কবে এবং কত প্রাণের বিনিময়ে অনুভব করতে সক্ষম হবেন? প্রশ্নটি সামনে আসছে আবারও।
পর্যাপ্ত অগ্নি নির্বাপণ যন্ত্রপাতিসহ মূল ফটক ছাড়াও আরো অন্তত দু’টি জরুরী নির্গমন না থাকলে ফায়ার লাইসেন্স দেয়ার সুযোগ নেই। পর্যাপ্ত জরুরী নির্গমন পথ থাকলে আটকে পড়া হতভাগ্য মানুষের সংখ্যা কমার সম্ভাবনা ছিলো এবং হতাহতের সংখ্যা এত ব্যাপক আকার ধারণ করতো না বলেই বিশেষজ্ঞরা বলছেন। জরুরী নির্গমন পথ ছাড়া কারখানাটিকে ফায়ার লাইসেন্স অবৈধভাবে দেয়া হয়েছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। যদি তাই হয়ে থাকে, ফায়ার সার্ভিস সংশ্লিষ্টরা এই হত্যাকাণ্ডের দায় কি এড়াতে পারেন?
ফায়ার লাইসেন্স ছাড়া কারখানা পরিচালনা করলে এর মালিককে শ্রমিক হত্যার দায়ে বিচারের মুখোমুখি করার পাশাপাশি শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরও অবৈধভাবে কারখানা পরিচালনার সুযোগ দেয়ার জন্য বিচারের আওতায় আনা জরুরী বলে মনে করেন সকলে।
কারখানাটির মালিক সৈয়দ মকবুল হোসেন সাবেক সংসদ সদস্য। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, শুক্রবার রাতের শিফটে যে ৭৫ জন শ্রমিক কাজ করছিলেন তারাই শনিবার সকাল ৬ টায় বিস্ফোরণের পর অগ্নিকাণ্ডে কারখানার ভেতরে আটকা পড়েছেন। প্রশ্ন হচ্ছে, সামন্যতম সোশ্যাল কম্প্লায়েন্স মেনে চললে ও বিবেকের কাছে দায়বদ্ধতা থাকলে শুক্রবার ছুটির দিনের রাতের শিফটে কোনো কারখানায় এত শ্রমিক কাজ করতে পারে কি? একজন সাবেক আইনপ্রণেতা কতটা আইন ভঙ্গকারী হতে পারেন, চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলো এ দুর্ঘটনাটি।
অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত বয়লার বিস্ফোরণ থেকে না গ্যাস লাইন বিস্ফোরণ থেকে হয়েছে তা নিয়ে বিতর্ক আছে। বিস্ফোরণের উৎস যাই থাকুক তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনাটা সবার আগে জরুরী। এখানেও সংশ্লিষ্টদের অবহেলা ও দুর্নীতির বিষয়টি প্রকাশ্য হয়েছে। এ ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিরা পার পেয়ে গেলে অতীত ও বর্তমানে ঘটে চলা এমন বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ড রোধ করা অসম্ভব হয়ে পড়বে, নিশ্চিত করে বলা যায়।
পশ্চিমা বা উন্নত দেশগুলোর ভোক্তারা কোথাকার কী পণ্য, কীভাবে উৎপাদন হচ্ছে, এর সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের জীবনমান কেমন তা জেনেই পণ্য কিনে থাকেন। এ ক্ষেত্রে আমরা কী করছি? আমাদের অধিকার ও দায় সম্পর্কে আমাদের ধারণা কতটুকু আছে সে দিকে দৃষ্টি দেয়ার সময় এসেছে।
ট্যাম্পাকোর ওয়েবসাইটে দেখা গেছে, বহুজাতিক একটি কোম্পানি ও স্থানীয় একটি শীর্ষ কোম্পানির খাদ্য পণ্যের মোড়ক বা প্যাকেজিং তারা সরবরাহ করেছে। এর বাইরে হয়তো আরও অনেক কোম্পানিকে তারা ফয়েলের মোড়ক সরবরাহ করে থাকতে পারে। বিখ্যাত এ দু’টি কোম্পানি তাদের পণ্য উৎপাদনে নিজেদের কারখানায় আদৌ নিরাপদ কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করেছে কি না এবং সাধারণ সোশ্যাল কম্প্লায়েন্স মেনে কারখানা চালাচ্ছে কি না সে প্রশ্ন ওঠা বাঞ্ছনীয় যেখানে তারা তাদের সাপ্লাই চেইন কারখানার কম্প্লায়েন্সের বিষয়টি এড়িয়ে গেছে।
শ্রমিকদের জন্য নিরাপদ নয় এমন একটি কারখানা থেকে সরবরাহ নিয়ে এ সকল কোম্পানি প্রকারান্তরে প্রমাণ করেছে তারাও দেশের প্রচলিত আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে। আর আমরা, যারা তাদের পণ্যের ভোক্তা, কোনো ধরনের প্রশ্ন উত্থাপন না করেই তাদের খাদ্যপণ্য গ্রহণ করে যাচ্ছি দিনের পর দিন। এসব পণ্য কেনার আগে আমাদের কি জানার প্রয়োজন নেই তারা কোন সুযোগ সুবিধা ও স্বার্থের লোভে একটি ভয়ংকর মৃত্যুকূপ থেকে প্যাকেজিং পণ্য সরবরাহ নিচ্ছিলো? ভাবার প্রয়োজন নেই, এর সাথে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকরা দু’বেলা খাবার ও কর্মক্ষেত্রে বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা পাচ্ছে কি না?
রপ্তানী ছাড়া অন্য খাতের উৎপাদনমুখী দেশীয় শিল্প প্রতিষ্ঠান বা কারখানায় ফায়ার সেফটি, পরিবেশ, ন্যূনতম মজুরি প্রদান বিষয়ক কোনো কম্প্লায়েন্স মানা হয় বলে মনে করার কোনো কারণ নেই। সরকারিভাবে বিষয়টি দেখার কেউ আছেন বলেও শোনা যায় না। ট্যাম্পাকো বা এ ধরণের স্থানীয় সরবরাহকারীদের তাদের ক্রেতারা যত পারে চুষে খাওয়ার মনোবৃত্তি পোষণ করে বলেই নিরাপদ কর্ম পরিবেশের প্রশ্নে তারা নিরব ছিলো, ধারণা করা যায়।
নিরাপদ কর্ম পরিবেশ, ন্যূনতম মজুরি নিশ্চিত করা ও শিশুশ্রমের মত অতি জরুরী ও মানবিক বিষয়গুলোর দিকে নজর দিতে গেলে পশ্চাৎপদ পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার আশংকায় স্থানীয় বাজার দখলকারী এসব বড় বড় শিল্প গ্রুপগুলো সাপ্লাই চেইনের কম্প্লায়েন্স এড়িয়ে যায়। সরকার বা ভোক্তা কোথাও তাদের জবাবদিহিতার প্রশ্ন না থাকায় কম্প্লায়েন্স দেখার জন্য তাদের প্রশিক্ষিত জনবল না রাখার অভিযোগ আছে। কোনো কোনো কোম্পানি আদৌ এগুলো বোঝে কি না এ বিষয়ে সন্দেহ থাকার যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে। এর বাইরে প্রকিউরমেন্ট বিভাগের লোকদের সাথে সরবরাহকারীর নগদ বিনিময়ের মতো অনৈতিক বিষয়গুলোও উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না।
ট্যাম্পাকো ফয়েলস লিমিটেড দুর্ঘটনায় এর মালিক পক্ষ এবং সরকারি সংস্থার অবহেলা রয়েছে নিরাপদ কর্ম পরিবেশ সৃষ্টিতে। অবহেলাজনিত এমন প্রাণহানীকে দুর্ঘটনা না বলে হত্যাকাণ্ড বলাটাই সমীচীন হবে। মালিকের অবহেলার জন্য আমরা তার বিচার, সরকারি সংস্থাগুলোর অবহেলায় যাদের দায় আছে তাদেরও বিচার দাবি করতে পারি।
আর ভোক্তা হিসেবে আমরাও সিদ্ধান্ত নিতে পারি যাদের উৎপাদনের সকল পর্যায়ে নিরাপদ কর্ম পরিবেশ নেই, সামান্যতম ইথিক্যাল ও সোশ্যাল কম্প্লায়েন্স যারা নিশ্চিত করে না, তাদের পণ্য আমরা ব্যবহার করবো কি না? তাদের উৎপাদিত যেসব খাদ্যপণ্য বা অন্যান্য দ্রব্য আমরা গ্রহণ করছি তাতে লেগে আছে শ্রমিকের রক্ত। ট্যাম্পাকোর অর্ধশতাধিক হতাহত শ্রমিকের রক্তমাখা ফয়েলে মোড়ানো এসব খাদ্যপণ্যকে তাই এখনই না বলতে হবে। অন্যথায় অবহেলাজনিত শ্রমিক হত্যা ঘটতেই থাকবে একের পর এক।
(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে।)