ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক এবং বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব প্রান্ত থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ২০ কি.মি. ও বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম হতে সিরাজগঞ্জের রোড পর্যন্ত প্রতিদিনই ১৫ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ছে এ মহাসড়ক দিয়ে চলাচলরত সাধারণ যাত্রীরা। এই যানজটের কারণ হিসেবে পরিবহনের চালক ও হাইওয়ে পুলিশের কর্মকর্তারা বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনাকেই দায়ী করছেন।
উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকাগামী আলু বহনকারী মনির হোসেন ও জামালসহ একাধিক ট্রাক চালক বলেন: বগুড়া থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে সিরাজগঞ্জের রোডে এসে পৌছেছি। শনিবার বেলা ১১টার পর বঙ্গবন্ধু সেতু পার হয়ে সেতু পূর্বগোল চত্ত্বর এসেছি।
এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আছাবুর রহমান জানান: আজ ভোর সাড়ে ৫টায় বঙ্গবন্ধু সেতুর ৪ নম্বর পিলারের কাছে উত্তরবঙ্গগামী একটি বাস অপর একটি ট্রাককে পিছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে বাসের ৫যাত্রী আহত হয়।
‘সেতু কর্তৃপক্ষ আহতদের উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। এসময় দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ি দুটি সরিয়ে নিলেও অধিক গাড়ির কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়। অপরদিকে বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল আদায়ের জন্য নতুন সিস্টেম চালু করায় সম্প্রতি যানজটের পরিমাণ বাড়ছে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যানজট নিরসনে কাজ করা হাইওয়ে পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা জানান: টোল আদায়ের জন্য নতুন সিস্টেম স্থাপন ও ওই সিস্টেমের উন্নয়ন কাজ চলমান থাকায় টোল আদায়ে বেশি সময় লাগছে।
এছাড়া গাড়ির অধিক চাপের তুলনায় টোল আদায়ে গতি না থাকায় অসহনীয় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।