আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত ও সুনামী পরবর্তী দুর্যোগ মোকাবেলায় বিধ্বস্ত টোঙ্গায় বৃহস্পতিবার নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার সহায়তাকারী বিমান এবং জাহাজ পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার সেনাবাহিনীর বরাতে বিবিসি জানায়, বৃহস্প্রতিবার দেশটির সাহায্যকারী বিমান পানি, খাবার ও যোগাযোগে ব্যবহৃত সরঞ্জাম নিয়ে টোঙ্গায় অবতরণ করবে।
নিউজিল্যান্ডের জাহাজও একই দিন টোঙ্গায় পৌঁছাবে। জাহাজে করে ২ লাখ ৫০ হাজার লিটার বিশুদ্ধ পানি ও পানি থেকে লবণ আলাদা করবার যন্ত্র নেবার কথা জানিয়েছে দেশটি।
এছাড়াও সাহায্যকারী বিমান ও জাহাজগুলোতে দুর্যোগের কবলে পড়া ব্যাপক সংখ্যক মানুষের সহায়তায় পানির কন্টেইনার, ক্ষণস্থায়ী আশ্রয় সরঞ্জাম, বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত জেনারেটর, স্বাস্থ্য নিরাপত্তায় ব্যবহৃত সরঞ্জাম নেয়া হয়েছে।
নিউজিল্যান্ডের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পেনি হেনারে বলেছেন টোঙ্গায় এখন সবচেয়ে বেশি দরকার বিশুদ্ধ পানির।
টোঙ্গার সরকার করোনার বিস্তার রোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনার অনুরোধ করেছেন।
বিবিসি জানায়, বিমান চলাচল উপযোগী করতে বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে পুরু ছাইয়ের স্তুপ সরিয়ে নিয়েছে কর্মীরা।
গত শনিবার সাগরের তলদেশ থেকে অগ্ন্যুৎপাত ও সুনামীর ঘটনায় কমপক্ষে তিন জন মারা গেছে। দেশটিতে যোগাযোগ ব্যবস্থা একেবারেই ভেঙে পড়েছে।
নিউজিল্যান্ড এয়ারফোর্সের পর্যবেক্ষণ বিমান থেকে নেয়া চিত্রে দেখা যায় দেশটির উপকূলবর্তী গ্রামগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে।
অন্যদিকে দ্বীপের অনেক জায়গায় আগ্নেয়গিরির ছাই দিয়ে ঢেকে যাওয়ায় মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। বিশুদ্ধ পানির যোগানও বন্ধ হয়ে গেছে।
উদ্ধারকারী ও স্বেচ্ছাসেবক দল গত বুধবার রাজধানী নুকুয়ালোফা বিমানবন্দর থেকে ছাই সরিয়ে ফেলতে সহায়তা করেছে।