ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টেস্ট সিরিজের জন্য ১৬ সদস্যের স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েছেন অভিজ্ঞ পেসার স্টুয়ার্ড ব্রড। যদিও ইংল্যান্ডের অ্যাশেজ বিপর্যয়ের মাঝে ২৬.৩০ গড়ে ১৩ উইকেট নিয়ে ইংলিশ বোলারদের মধ্যে তিনি ছিলেন সবচেয়ে সফল।
গত অ্যাশেজে ইয়ান বোথাম ও বব উইলসের মতো খ্যাতিমান বোলারদের টপকে ইংলিশদের টেস্ট ইতিহাসে দ্বিতীয় সেরা উইকেট শিকারি এখন ব্রড। তার উইকেট সংখ্যা ৫৩৭।
ব্রড জানিয়েছেন, সম্প্রতি টেস্ট স্কোয়াড থেকে বাদ পড়ার বিষয়টি নিয়ে তিনি নাকি এখনও অন্ধকারে আছেন এবং ব্যাপারটি মানিয়ে নিতে সংগ্রাম করছেন। নির্বাচকদের সঙ্গে বাদ পড়ার বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ ঘাটতি থাকা নিয়ে হতাশার কথাও জানান।
একটি সংবাদপত্রের কলামে ব্রড লিখেছেন, ‘আমি বিষয়টি মানিয়ে নিতে সংগ্রাম করছি। এটা আসলে করাটা কঠিন যখন কেবল পাঁচ মিনিটের ফোন কলে জানতে পারবেন।’
‘এটি আমার ঘুমকে প্রভাবিত করেছে। আমি আমার সঙ্গী মলিকে একদিন সকালে বলেছিলাম, আমার শরীরে ব্যথা হয়েছে। সে বলেছিল চাপ নেয়ায় এমনটি হচ্ছে। পরামর্শ দিয়েছিলেন যে এটি চাপ হবে।’
‘আমি মোটেও এমন দাবি করতে পারি না যে খুব ভালো আছি। কারণ আমি মোটেও ভালো নেই। সবকিছু ঠিক আছে এমন অভিনয় করা ভুল হবে। আমি অ্যাশেজের শেষ দুটি ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়েছিলাম। আমি দীর্ঘদিন ধরে টেস্ট ম্যাচের মানদণ্ড ধরে রেখেছি। গত আট বছরের মানদণ্ডকে আপনি বিশ্বমানের বলবেন।’
‘আমি যদি নিজের মানদণ্ড অনুযায়ী দিতে না পারতাম, তবে বাদ পড়াটা মানতে পারতাম কিন্তু যখন তারা (নির্বাচক) ব্যাপারটা উপেক্ষা করে, তাহলে ভিন্ন কোন বিষয় আছে।’
‘তারা যখন বিদেশের মাটিতে জয়ের জন্য তাৎক্ষণিক পরিকল্পনার অংশে আমাকে রাখে না, সেটা আরও বেশি বিচলিত করে। বিষয়টার ব্যাখ্যা আমাকে খুব সংক্ষেপে দেয়া হয়েছিল। আমি বিশ্বাস করি ৪ মার্চ অ্যান্টিগায় ইংল্যান্ডের সেরা দলে জায়গা পাবো। আর সেজন্যই বাদ পড়ার ব্যাপারটা বোঝাটা কঠিন।’
ইংল্যান্ড দলে না থাকায় অবসর সময়ে নিজের পরিবারকে সময় দেয়ার কথাই জানিয়েছেন ব্রড। একইসঙ্গে নিজের ভবিষ্যৎ কেমন হবে তা নিয়েও চিন্তা করবেন।
‘আমি শুক্রবার আমার মা ক্যারোলের সাথে কথা বলেছিলাম। কারণ আমি প্রতিদিন পার করার সঙ্গে বাদ পড়ার বিষয়ে আরও বিভ্রান্ত হচ্ছি এবং রেগে যাচ্ছি। তিনি আমাকে সময় নিতে বলেছেন। কিছু সময়ের জন্য খেলা থেকে দূরে সরে গিয়ে কারণগুলো বের করতে পরামর্শ দিয়েছেন।’
শুধুমাত্র ব্রড নয়, টেস্ট থেকে বাদ পড়েছেন টেস্ট ইতিহাসে তৃতীয় সর্বাধিক উইকেট শিকারি জেমস অ্যান্ডারসন। ইংল্যান্ডের হয়ে টেস্টে ৬৪০ উইকেট নেওয়া জিমি অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে হওয়া শেষ অ্যাশেজে তিন ম্যাচে ২৩.৩৭ গড়ে ৮ উইকেট নিয়েছিলেন।
পেস বোলিং সঙ্গীর সঙ্গে নিজের এমন পরিণতি নিয়ে ব্রডের স্বীকারোক্তি, ‘পর্দার আড়ালে কিছু ঘটেছে কি না, অ্যাশেজের সময় কোন হট্টগোল হল কিনা, দুর্ভাগ্যজনকভাবে লোকজন এমন প্রশ্ন করবে। তবে আমি স্পষ্টভাবে বলতে পারি এমনটা হয়নি। জিমি এবং আমি কেউই এমনটা হতে দেখিনি। আমরা অন্ধকারে ছিলাম।’