ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার অ্যাশেজ সিরিজ দিয়ে শুরু হয়েছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। আইসিসির নতুন কাঠামোয় র্যাঙ্কিংয়ের সেরা নয়টি দেশ নিজেদের মধ্যে ধারাবাহিকভাবে আগামী দুই বছর সাদা পোশাকে লড়বে। বাংলাদেশ খেলবে ১৪টি ম্যাচ। টানা খেলতে পারলে ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণে উন্নতির সুযোগ বাড়বে বলে মনে করছেন মুমিনুল হক।
‘ম্যাচ না খেললে একরকম, কিন্তু খেললে পারফর্ম করার সুযোগ বাড়বে। ফলাফল ভালো করার সুযোগ থাকে। দলকে ভালো একটি অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকে, সুযোগ থাকে র্যাঙ্কিংয়ে উপরের দিকে যাওয়ারও। এদিক দিয়ে চিন্তা করলে আমার মনে হয় এটা খুব ভালো একটি সুযোগ।’
নয় নম্বর দল হিসেবে বাংলাদেশ সুযোগ পাচ্ছে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে খেলার। শুরুটা হবে নভেম্বরে ভারত সফর দিয়ে। তার আগে সেপ্টেম্বরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে একটি টেস্ট খেলবে টাইগাররা। র্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে থাকায় আফগানিস্তানের ম্যাচটি নতুন কাঠামোতে আসবে না। তবে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরুর আগে এই ম্যাচকে মুমিনুল দেখছেন প্রস্তুতির দারুণ সুযোগ হিসেবে।
‘ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে ওদের স্পিন আক্রমণ আমাদের সামনে আসবে। এটা (আফগানিস্তানের বিপক্ষে) ভালো প্রস্তুতি হবে। আমরা জানি উপমহাদেশে ওদের স্পিন আক্রমণ অনেক ভয়ঙ্কর।’
মুমিনুলের নামের পাশে লেগে গেছে টেস্ট ক্রিকেটারের তকমা। ওয়ানডে, টি-টুয়েন্টি সংস্করণ থেকে দূরে চলে যাওয়া এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান অবশ্য টেস্ট নিয়েই ক্যারিয়ার কাটিয়ে দিতে চান না। কীভাবে জাতীয় দলের রঙিন পোশাক আবারও গায়ে জড়াতে পারেন সেটি নিয়েও ভাবনা থাকায় নিজেকে কেবল টেস্ট ক্রিকেটার ভাবতে আপত্তি তার।
‘টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে নিজেকে আমি ওভাবে মেনে নেইনি। আমার মনে হচ্ছে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ হওয়াতে আমাদের দেশের জন্য ভালো হয়েছে। বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য ভালো হয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে আমি খুব খুশি। কেননা টেস্ট ক্রিকেট আমাদের দেশে ওভাবে ফোকাস হয় না। ওইদিক দিয়ে চিন্তা করলে আমাদের দেশের জন্য খুবই ভালো হয়েছে।’
‘টেস্ট ক্রিকেটের জন্য সবসময় বসে থাকলে হয় না। যেসব জায়গায় উন্নতি দরকার সেখানে উন্নতি করতে অনুশীলন সবসময়ই চালিয়ে যেতে হবে। এ কারণেই আমি বাড়তি অনুশীলন করি (সাদা বলেও), টেস্ট ক্রিকেটে যদি খুব ভালো গড় নিয়ে যাই বা বিপিএলে ভালো অবস্থান নিয়ে যাই, যদি ভালো করতে পারি, তাহলে ভালো একটা সুযোগ আছে ওয়ানডে দলে বিবেচনায় আসার।’