দীর্ঘ সময় উইকেট কিপিং করে ব্যাটিং ও অধিনায়কত্ব করা অতিরিক্ত চাপ হলেও এখনই টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে মুশফিকুর রহিমকে বদলের কোনও পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
তবে যে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতার রয়েছে তার। ঘরোয়া ক্রিকেটে পাতানো ম্যাচের অভিযোগ প্রমাণ হলে শাস্তি নিশ্চিত করার কথাও বলেছেন তিনি।
ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথমবার ওয়ানডে সিরিজ জয়ের পর টেস্ট সিরিজেও দারুণ কিছুর প্রত্যাশা ছিলো টাইগার সমর্থকদের।
খুলনায় প্রথম টেস্টে তার প্রমাণও রাখে টাইগাররা। কিন্তু মিরপুরে দ্বিতীয় টেস্টে টস জিতে ফিল্ডিং নেয়ার পর থেকেই টেস্ট অধিনায়ক মুশফিককে নিয়ে অনেকের প্রশ্ন।
আলোচনায় আসে দীর্ঘ সময় কিপিং করার পর ব্যাটিং ও অধিনায়কত্ব করা অতিরিক্ত চাপ ফেলে কিনা তা নিয়েও। কিন্তু আপাতত: বিকল্প কিছু ভাবছে না বিসিবি।
মুশফিকের থাকা না থাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অধিনায়ক থাকা না থাকা সম্পূর্ণ মুফিকের স্বাধীনতা। তবে এক সাথে ব্যাটিং, কিপিং ও অধিনায়কের চাপ সামলানোও কঠিন বলে মন্তব্য করেন তিনি। এ মূহুর্তে দলে মুশফিকের বিকল্প দেখছেন ক্রিকেট বোর্ডের এ প্রধান কর্তা।
ভারতের অনেক তরকা খেলোয়াড়ের বাংলাদেশ সফরে অনীহা প্রসঙ্গে বিসিবি প্রধান বলেন, আমার মনে হয় না এমন কিছু হবে। টেস্ট ও ওয়ানডে দুই ফর্মেটের জন্য দুই দল পাঠাতে পারে। তবে ভারত তার গতবারের সফরের থেকে শক্তিশালী দল পাঠাবে বলে বিশ্বাস তার।
ঘরোয়া ক্রিকেটে সম্প্রতি সময়ে পাতানো ম্যাচের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কেউ ম্যাচ পাতালে তাকে ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। যে অভিযোগ উঠেছে তা তদন্তে করে কেউ দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাকিস্তানে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল তো নয়ই, মহিলা দলের যাওয়াও এখনো নিশ্চিত নয় বলে জানান পাপন।