তৃতীয় বাংলাদেশী হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে ডাবল সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন সাকিব আল হাসান। ২৫৩ বলে ২০০ রান করেন সাকিব। অনবদ্য এই ব্যাটিং প্রদর্শনী থামে এরপর আরও ১৭ রান যোগ করে। ২৭৬ বলে ২১৭ রানের ইনিংস খেলে নেইল ওয়েগনারের বোলে বোল্ড হন এই বাহাতি।
আর দৃষ্টিসুখকর এই ব্যাটিং নৈপুণ্যে টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ইনিংসের মালিক এখন এই বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার। এর আগে যা ছিলো আরেক বাহাতি ড্যাশিং ওপেনার তামিমের দখলে। পাকিস্তানের বিপক্ষে ২০৬ রান করেছিলেন তিনি।
নিউজিল্যান্ড সফরে ওয়ানডে ও টি-২০তে ব্যর্থতার পর এক ভিন্ন বাংলাদেশকেই দেখছে স্বাগতিকরা। ওয়েলিংটনের বেসিন রিজার্ভে এক একটা বীরত্বগাথা রচনা করছেন টাইগাররা।
শতক পূর্ণ করতে সাকিব খেলেন ১৫০ বল। আর ১৫০ রানে পৌঁছান তিনি ১৯১ বলে। আর ২৫৩ বলেই স্বপ্নের মাইলফলক। অর্থাৎ ব্যাটিংয়ে তেমন সংযমী ছিলেন না বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার। হাত খুলেই খেলেছেন। তার অসাধারণ দৃষ্টিনন্দন এই ইনিংসটিতে চারের মার ৩১টি। কোন ওভার বাউন্ডারি নেই তার আগ্রাসী ইনিংসে।
তবে সাকিব-মুশফিকের দুর্দান্ত জুটিতে দ্বিতীয় দিনে বেশ বড় সংগ্রহ বাংলাদেশ দলের। মুশফিক থেমেছেন ১৫৯ রানে। দলীয় ইনিংস সাড়ে ৫ শো’র পথে।
৪৪ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে সাকিবের রয়েছে ৩টি সেঞ্চুরি ও ১৯টি হাফ-সেঞ্চুরি।
বাংলাদেশ দলের হয়ে এর আগে মুশফিকুর রহিম ও তামিম ইকবালও টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন। বাংলাদেশের প্রথম দ্বি-শতকের দেখা পান মুশফিকুর রহিম। গলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩২১ বলে ২০০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন এই উইকেটকিপার কাম ব্যাটসম্যান। ২০১৩ সালের মার্চে এই অসামান্য অর্জন তার। এরপরের দ্বি-শতকটি আসে বাহাতি ওপেনার তামিমের হাত ধরে। ২০১৫ সালের এপ্রিলে পাকিস্তানের বিপক্ষে খুলনায় ২৭৮ বলে ২০৬ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।