ইংল্যান্ডের সঙ্গে টেস্ট জয়ের পর আরো বেশি টেস্ট ম্যাচ খেলার সুযোগ চেয়েছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। আইসিসি’র কাছে এজন্য অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু, ক্রিকেট ভক্তদের প্রশ্ন: আরো বেশি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলার সুযোগের জন্য তিনি কার কাছে আবেদন জানাবেন?
প্রশ্নটা এজন্য আসছে যে, টেস্ট ম্যাচ খেলার জন্য ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল এবং কিছু ক্ষেত্রে অন্য দেশের বোর্ডের উপর নির্ভর করতে হলেও প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলা নির্ভর করে নিজ দেশের বোর্ডের উপর। টেস্ট ম্যাচ নিয়ে আইসিসি’র বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অনুযোগ-অভিযোগ থাকতে পারে। কিন্তু, বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা যে প্রথম শ্রেণীর ম্যাচও কম খেলার সুযোগ পায় সেজন্য তারা অভিযোগ করবেন কার বিরুদ্ধে?
বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজ চলার সময় বারবারই আলোচনায় এসেছে দু’ অধিনায়কের টেস্ট পরিসংখ্যান। মুশফিকুর রহিমের মাত্র মাস দুয়েক আগে ২০০৬ সালের ১ মার্চ টেস্ট অভিষেক হয়ে অ্যালিস্টর কুক গত সাড়ে ১০ বছরে যেখানে ১৩৪টি টেস্ট খেলেছেন সেখানে মুশফিক খেলেছেন মাত্র ৫০টি। এ তথ্য বাংলাদেশের টেস্ট খেলার সুযোগহীনতার প্রমাণ।
কিন্তু, এখন যদি প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটের পরিসংখ্যানের দিকে চোখ দেওয়া যায় তাহলে সেখানেও দেখা যায় বিশাল ফারাক। কুক তার ক্রিকেটিং ক্যারিয়ারে যেখানে ২৪৬টি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলেছেন সেখানে মুশফিকুর রহিম খেলেছেন ৮৮টি। কুক হয়তো কিছু ম্যাচ টেস্টের আগে প্রস্তুতি হিসেবে খেলেছেন। কিন্তু, এটাওতো ঠিক টেস্ট ম্যাচ খেলার সময় তিনি ঘরোয়া প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলতে পারেননি। তাহলে মুশফিকের চেয়ে তিনি তিনগুণ প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ কীভাবে খেললেন?
ক্রিকেট বিশ্লেষকরা মনে করেন, এখানেই আসলে ঘরোয়া লংগার ভার্সন ক্রিকেটের প্রশ্ন চলে আসছে। ইংলিশ ক্রিকেট বোর্ড যেখানে নিয়মিত প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটের আয়োজন করে সেখানে তা করতে অনেকটাই ব্যর্থ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। টেস্টে দীর্ঘ বিরতির পাশাপাশি প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে এরকম অনভ্যস্ততার প্রতিফলন দেখা যায় বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ধৈর্য্যহীনতায়।
ক্রিকেট ভক্তরা তাই বলছেন, বেশি টেস্ট খেলার জন্য মুশফিকুর রহিম যেভাবে আইসিসি’র কাছে অনুরোধ জানাচ্ছেন একইভাবে নিয়মিত প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলার সুযোগের জন্য যেন বিসিবির কাছেও আকুতি জানান।