সাংবাদিকদের জন্য গঠিত তহবিলে বেশি বেশি অর্থ প্রদান করতে বিত্তবান সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের সহায়তা ভাতা ও অনুদানের চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এমন আহ্বান জানান তিনি।
এসময় তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, এখানে অনেকেই আছেন যাদের জন্য কিছু টাকা দান করা মোটেও কোনো বড় ব্যাপার না। প্রাথমিক পদক্ষেপটা আমরা নিলাম। কিন্তু তারা সহায়তা করলে এই তহবিল আরো বড় হবে। যদি তারা চান তাহলে তাদের টাকা প্রদান অনুষ্ঠানে না হয় আমিও থাকবো। আমি জানি, আমি থাকলে কেউ ছোট চেক আনবে না বরং বড় বড় চেক নিয়ে আসবে।
বঙ্গবন্ধুর কথা টেনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুও একসময় নিজের হাতে পত্রিকা বানিয়েছেন এবং সেটা বিক্রি করেছেন। সুতরাং সেই হিসেবে আমিও সাংবাদিকদের খুব দূরের কেউ নই।
সাংবাদিকদের জন্য একটি বিশেষ প্লট নির্ধারণ করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন যেসব প্লট দেওয়া হচ্ছে সেখানে সাংবাদিকদের কোটা সবচেয়ে বেশি। কিন্তু একেকটি প্লট একেক জায়গায়। সবচেয়ে ভালো হয় যদি আপনারা নিজেরা একটা প্লট খুঁজে নেন। আমরা ভাড়ার মূল্যে সাংবাদিকদের ফ্ল্যাট দেওয়ার কথাও ভাবছি। তাতে ভাড়ার টাকা দিলেই একসময় ফ্ল্যাটের দাম শোধ হয়ে যাবে। পরে সেই ফ্ল্যাট তার নিজের হয়ে যাবে।
বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন টেলিভিশনে টক শোর কথা উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, আমি সব টক শো শোনার সময় পাই না। কিছু কিছু শুনি। পরচর্চা থাকবেই। সেটা বাঙালির অভ্যাস। কিন্তু আপনারা গঠনমূলক ও শিক্ষামূলক সমালোচনা নিয়ে আসুন। যেন আমরা পরে সঠিক পদক্ষেপ নিতে পারি। অনেকগুলো চ্যানেল আমরা অনুমোদন দিয়েছি। আরো অনেকেই অনুমোদন চাইছে। আমার মনে হয় এতে অন্তত কিছু মানুষের কর্মসংস্থান হবে আর কিছু পয়সাওয়ালার টাকা খরচ করার জায়গা হবে। তাহলে ক্ষতি কি?
সম্প্রচার নীতিমালার খসড়া তৈরি হয়েছে, পত্রিকাগুলোর জন্য নবম ওয়েজবোর্ডও খুব দ্রুত দিয়ে দেওয়া হবে, অনলাইন নীতিমালাও শিগগিরই তৈরি হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, অনেক সাংবাদিক অভিযোগ করেন, অষ্টম ওয়েজবোর্ডে মালিক সুবিধা পেলেও তা সাংবাদিক পর্যন্ত পৌঁছায় না। আমি আশা করবো মালিক কাম সাংবাদিকরা সবার সুযোগ সুবিধার কথা মাথায় রাখবেন। মনে রাখবেন, একজন অধিকার ভোগ করলে অন্যের উপর কর্তব্য বর্তায়। দায়িত্ব পালন করতে হয়।
অনুষ্ঠান শেষে দুস্থ সাংবাদিকদের হাতে সহায়তা চেক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।