চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

টেলিগ্রামে প্রশ্নের জবাবে কাটছে ইউক্রেন ফার্স্ট লেডির সময়

যুদ্ধকালীন সময়ে গোপন অবস্থানে বসে আগ্রহীদের নানা প্রশ্নের উত্তর দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব সময় কাটছে ইউক্রেনের ফার্স্ট লেডি ওলেনা জেলেনস্কির। একটি ভ্যারিফাইড টেলিগ্রাম চ্যানেলের মাধ্যমে আগ্রহীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন তিনি।

‘এইসব দিনে আমাদের মনে নানান প্রশ্ন জাগে। যেমন, যুদ্ধে করণীয় কি কিংবা কিভাবে এ সময় বেঁচে থাকা যায়। প্রশ্নের জবাব খুঁজতে আমি যতটুকু সম্ভব সাহায্য করতে চাই। এ কারণে আমি একটি বিশেষ টেলিগ্রাম চ্যানেলের মাধ্যমে সেইসব প্রশ্নের জবাব দেয়া শুরু করি’- জানান ওলেনা।

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের উপর একটি বিশেষ সামরিক অভিযানে ঘোষণা পরে গত ১০ দিন ধরে ইউক্রেনে রুশ আক্রমণ অব্যাহত রয়েছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এর আগে বলেছিলেন, যে তিনি রাশিয়ার প্রথম টার্গেট এবং তার স্ত্রী এবং দুই সন্তান-সহ তার পরিবার দ্বিতীয় টার্গেট। যদিও জেলেনস্কি একটি ভিডিওতে ইউক্রেন ছেড়ে যাননি বলে দাবি করেন।

তবে নিরাপত্তার কারণে তার পরিবারের সদস্যদের অবস্থান গোপন রাখা হয়েছে। এই সময়ে ওলেনা জেলেনস্কা একটি টেলিগ্রাম চ্যানেল শুরু করেছেন যেখানে লোকেরা যাচাইকৃত উত্তর খুঁজে পেতে পারে।

প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির মতো ওলেনাও সোশ্যাল মিডিয়াতে বেশ সক্রিয়। ইনস্টাগ্রামে তিনি নিয়মিত ভিডিও বার্তা পাঠান এবং টেলিগ্রামে সরকারি তথ্য দেন।

সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, সারা বিশ্বের ফার্স্ট লেডিরা তাকে জিজ্ঞাসা করছে, কিভাবে তারা ইউক্রেনকে সাহায্য করতে পারে। আমার উত্তর হল- বিশ্বকে সত্য বলুন! কথা বলুন! ইউক্রেনে যা ঘটছে তা একটি ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ নয়, পুতিন যেমন বলেছেন, তা নয়। এটি একটি পূর্ণ মাত্রার যুদ্ধ, যেখানে রাশিয়া আগ্রাসী ভূমিকা রাখছে।

জেলেনস্কির রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরু হওয়ার অনেক আগে ২০০৩ সালে ওলেনা এবং জেলেনস্কি বিয়ে করেছিলেন। কলেজে তাদের প্রথম দেখা হয়েছিল। ভলোদিমির জেলেনস্কি যখন একটি প্রযোজনা সংস্থা শুরু করেছিলেন, ওলেনা তখন একজন স্ক্রিপ্ট রাইটার হিসেবে কাজ করছিলেন।

যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ওলেনা জানান তিনি তার স্বামী এবং তার সন্তানদের পাশে থাকবেন। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গত ১০ দিনে, প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ইউক্রেন থেকে পালিয়েছেন- এমন গুজব ছড়িয়ে পড়ে।

পরে জেলেনস্কি ভিডিও বিবৃতি প্রকাশ করে জানান, তিনি এখনও কিয়েভে রয়েছেন। একটি ভিডিও তাকে রাস্তায়, অন্যটি একটি বাঙ্কারে এবং তার কিয়েভ অফিসে সর্বশেষ দেখা গিয়েছে। নিরাপত্তার কারণে তার পরিবারের অবস্থান গোপন রাখা হয়েছে।