ইংল্যান্ডের করা ২৮৪ রানের সংগ্রহটা চ্যালেঞ্জিংই ছিল, টেলর-ল্যাথাম জুটি ১৭৮ রান তোলায় শেষে চ্যালেঞ্জটা জিতল নিউজিল্যান্ডই। স্টোকসের প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে কিউইরা। সঙ্গে পাঁচ ওয়ানডের সিরিজে এগিয়ে গেল শুরুতেই।
রোববার হ্যামিল্টনে শুরুতে ব্যাট করে রুট ও বাটলারের ফিফটিতে ৮ উইকেটে ২৮৪ রান তোলে ইংল্যান্ড। জবাবে টেলরের সেঞ্চুরি ও ল্যাথামের ফিফটিতে ৪ বল এবং ৩ উইকেট হাতে রেখেই জয়ে নোঙর ফেলে নিউজিল্যান্ড।
বেয়ারস্টোকে (৪) হারিয়ে শুরু করা ইংল্যান্ড রয় ও রুট জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায়। দুজনে ৭৯ রান যোগ করেন। ৫ চার ও এক ছক্কায় ৬৬ বলে ৪৯ রানে রয়ের বিদায়ে থামে জুটি। অধিনায়ক মরগান (৮) দ্রুত তাকে অনুসরণ করেন।
মারামারির ঘটনায় জড়িয়ে দীর্ঘদিন বাইরে থাকা বেন স্টোকস (১২) ইংলিশ জার্সিতে ফেরার ম্যাচটি স্মরণীয় করে রাখতে ব্যর্থ হলে বিপদ বাড়ে সফরকারীদের। সেখান থেকে বাটলারকে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে কিছুপর ফিরে যান রুটও। ৫ চার ও এক ছক্কায় ৭৫ বলে ৭১ রানের ইনিংস তার।
তবে বাটলার শেষ ওভার পর্যন্ত ছিলেন। শুরুতে মঈন আলিকে (২৮) নিয়ে ৪৭ রানে জুটি গড়ে সংগ্রহ বাড়ানোয় মন দেন। পরে ওকস (১১) ও উইলিকে (১১) নিয়ে ছোট ছোট জুটিতে অবদান। শেষঅবধি ৭৯ রানে থেমেছেন বাটলার, ৫টি করে চার-ছয়ে ৬৫ বলের ইনিংস সাজিয়ে।
কিউইদের হয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন বোল্ট, স্যান্টনার ও সোধি। তবে একটি উইকেট পাওয়া মুনরো এবং কোন উইকেট না পাওয়া সাউদি-গ্র্যান্ডহোমসহ সকলে হিসেবি বোলিং করে ইংলিশদের চাপে রেখেছিলেন।
সেই চাপটাই উল্টো ঘুরে আসে রান তাড়া করতে নেমে গাপটিল ১৩, মুনরো ৬ ও অধিনায়ক উইলিয়ামসন ৮ রানে দ্রুত সাজঘরে হাঁটা ধরলে। টেলর-ল্যাথামের প্রতিরোধে অবশ্য শেষঅবধি সব বিপদ কেটে যায়।
টেলর-ল্যাথামে ১৭৮ রান যোগ করেছেন জুটিতে। ৬ চারে ৮৪ বলে ল্যাথামের ৭৯ রানের ইনিংসটি ছিল ধৈর্যের সঙ্গে রানের চাকা সচল রাখায় পাশ-ইনিংস। টেলরের ১৮তম ওয়ানডে সেঞ্চুরিটি একই বিশেষণে বাঁধা থাকবে। ১২ চারে ১১৬ বলে ১১২ রানের ইনিংম তার।
বড় জুটির দুজনে ফেরার মাঝে নিকোলস (০) ও গ্র্যান্ডহোম (২) চাপ নিতে ব্যর্থ হলেও স্যান্টনার আর সাউদি দেখেশুনে শেষটা টানেন। অবিচ্ছিন্ন ৪৩ রানের জুটিতে ম্যাচ চলে আসে কিউইদের পক্ষে। সাউদি ৮ রানে সঙ্গ দেন ৪৫ রানে অপরাজিত থাকা স্যান্টনারকে। তার ২ চার ও ৪ ছক্কার ইনিংসটি ২৭ বলে সাজানো।
ব্যাটে ব্যর্থ স্টোকস বল হাতে ২ উইকেট নিয়েছেন। ২ উইকেট ক্রিস ওকসেরও। একটি করে উইকেট নিয়ে চেষ্টা করেছেন উইলি, কুরান ও রশিদ। যে চেষ্টাগুলো কিউইদের জয় বিলম্বিত করলেও থামাতে পারেনি।