চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

টেনিসের টানে আবারও ফিরছেন ক্লাইস্টার্স

অবসর নিয়েছেন সেই সাত বছর আগেই। তিন সন্তান নিয়ে এখন সুখের সংসার কিম ক্লাইস্টার্সের। সুখের সংসারেও কিছু একটার পিছুটান ঠিকই অনুভব করেন বেলজিয়ামের সাবেক টেনিসকন্যা। টানটা যে টেনিস আর কোর্টের প্রতি সেটা বুঝতে পেরে আর দেরি করলেন না। জানিয়ে দিলেন, র‍্যাকেট হাতে সামনের বছর আবারও কোর্টে নামতে দেখা যাবে তাকে।

পরিবারকে সময় দেয়ার জন্য ২০১২ সালে দ্বিতীয়বারের মতো টেনিসকে বিদায় বলেছিলেন ক্লাইস্টার্স। সম্প্রতি এক ভিডিও বার্তায় ৩৬ বছর বয়সী সাবেক নাম্বার ওয়ান তারকা ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী বছরের ডব্লিউটিএ ট্যুর দিয়ে শুরু হবে টেনিসে তার তৃতীয়বারের মতো পথচলা।

ফিট থাকতে সবার আগে চিনি বাদ দিন, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ জিরোক্যাল-এর মিষ্টি স্বাদ নিন।

২০০৫ সালে ইউএস ওপেনে প্রথমবারের মতো গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতে নেন ক্লাইস্টার্স। সংসারে সময় দেয়ার জন্য ২০০৭ সালে টেনিসকে বলে দেন বিদায়। দুই বছর বাদে আবারও কোর্টে ফেরেন। সেবার তার শোকেসে ঢোকে দুই ইউএস ওপেন ও একটি অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ট্রফি। সেরেনা উইলিয়ামস, মারিয়া শারাপোভাদের মতো তারকাদের পেছনে ঠেলে উঠে যান র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে।

ক্যারিয়ারের সেরা সময়ে থাকা অবস্থাতেই আবারও কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে ক্লাইস্টার্সকে। ২০১২ সালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জয়ের পরপরই জানিয়ে দেন পরিবারকে উপেক্ষা নয়। তাই আবারও টেনিসকে বিদায়।

দ্বিতীয় দফায় অবসরের পর স্বামী-সন্তানদের নিয়ে ভালোই চলছিল ক্লাইস্টার্সের সংসার। কিন্তু শরীরের রন্ধ্রে রন্ধ্রে টেনিস মিশে থাকায় ফেরার ডাকটা আর উপেক্ষা করতে পারলে না। টুইটারে পোস্ট করা ভিডিওতে দেখিয়েছেন, পরিবার সামলে সেরেনা উইলিয়ামসদের চ্যালেঞ্জ জানাতে দুই বছর ধরে নতুন করে প্রস্তুত হচ্ছেন তিনি।

ফিরলেও অবশ্য নির্দিষ্ট কাউকে চ্যালেঞ্জ জানাতে ইচ্ছে নেই তার। এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন লড়াইটা কেবল তার নিজের সঙ্গেই, ‘আমি শুধু নিজেকেই চ্যালেঞ্জ জানাতে চাই এবং হতে চাই আরও শক্তিশালী। এটাই আমার জীবনের ম্যারাথন।’

আগামী বছরের জানুয়ারিতে আবারও কোর্টে দেখা যেতে পারে তাকে। এই সময়ের মধ্যেই সমস্ত প্রস্তুতি হয়ে যাবে বলে বিশ্বাস তার, ‘আমার হাতে এখনো সাড়ে তিন মাস সময় আছে। বিশ্বাস করি এই সময়ের মধ্যেই যথেষ্ট উন্নতি করা সম্ভব। দেখি না এরপর কতটুকু এগোনো যায়।’