কক্সবাজারের টেকনাফে নাফ নদীতে অভিযান চালিয়ে একটি আগ্নেয়াস্ত্র, ক্রিস্টাল মেথ আইস ও ইয়াবাসহ ১ জন মায়ানমার নাগরিকসহ ২ জন মাদক পাচারকারীকে আটক করেছে বিজিবি।
বিজিবির টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার সকালে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন কার্যালয় এক ব্রিফিং এ জানান: গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ বিজিবি জানতে পারে যে, গতকাল ১৬ ডিসেম্বর গভীর রাতে টেকনাফস্থ দমদমিয়া এলাকার পার্শ্ববর্তী নাফ নদী দিয়ে মাদকের একটি বড় চালান মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পাচার হতে পারে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ ব্যাটালিয়নের ব্যাটালিয়ন সদর এবং অধীনস্থ দমদমিয়া বিওপি থেকে দুইটি বিশেষ টহলদল নাফ নদীতে কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে। আজ শুক্রবার ভোর রাতে বিজিবি টহলদল দুটির একটি জালিয়ারদ্বীপ এলাকায় একটি হস্তচালিত কাঠের নৌকাকে বাংলাদেশে আসতে দেখে। নৌকাটি জালিয়ারদ্বীপের কাছাকাছি এসে পৌঁছলে বিজিবির টহলদল নৌকাটিকে চ্যালেঞ্জ করে। নৌকার আরোহীরা বিজিবির চ্যালেঞ্জকে উপেক্ষা করে নৌকা ঘুরিয়ে মিয়ানমার সীমান্তের দিকে চলে যেতে থাকলে, বিজিবি টহলদল উক্ত সন্দেহভাজন নৌকাটিকে থামানোর চেষ্টা করে। পরে বিজিবির টহলদল স্পীড বোটের সাহায্যে বিভিন্ন দিক থেকে ঘেরাও করে ১ জন তালিকাভুক্ত বাংলাদেশী মানব পাচারকারী এবং ১ জন মিয়ানমার নাগরিকসহ নৌকাটিকে আটক করতে সক্ষম হয়। নৌকাটি তল্লাশি করে নৌকার ভিতরে পাটাতনের নিচে একটি কম্বলের ভিতরে লুকায়িত অবস্থায় একটি আগ্নেয়াস্ত্র ক্রিস্টাল মেথ আইস, ইয়াবাসহ অন্যান্য মালামাল উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
আটককৃত আসামীরা হলেন: দ্বীন মোহাম্মদ (৪০), পিতা- মৃত আব্দুর রহিম, গ্রাম- মোচনী, পোস্ট- হ্নীলা, ইউনিয়ন- হ্নীলা, থানা- টেকনাফ, জেলা- কক্সবাজার (বাংলাদেশী নাগরিক) এবং বদি আলম (৩০), পিতা- মৃত লাল মিয়া, গ্রাম-শিয়া কনদং, পোস্ট-শিয়া কনদং, থানা- মংডু, জেলা- মংডু, মিয়ানমার (মিয়ানমার নাগরিক)।
বিজিবি অধিনায়ক জানান, আটকদের বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক এবং চোরাচালান আইনে টেকনাফ থানায় মামলা এবং উদ্ধারকৃত অস্ত্র, মাদক এবং অন্যান্য মালামাল যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।