বিনম্র শ্রদ্ধায় জাতি স্মরণ করলো জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ’৭৫ এর ১৫ই আগস্টের শহীদদের। জাতীয় শোক দিবসে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ইতিহাসের নির্মম আর নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়ার পর বাংলাদেশের স্রষ্টা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শেষ ঠাঁই হয়েছিলো টুঙ্গিপাড়ার এই মাটিতে। শৈশব-কৈশর আর যৌবনে সেখানকার মাঠ-ঘাট দাপিয়ে বেড়ানো বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে সময় সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অফ অর্নার প্রদান করে।
বেদনা বিধুর ছোট বোন শেখ রেহানাকে জড়িয়ে ধরে বঙ্গবন্ধুর সমাধির সামনে কিছুক্ষণ নিরবে দাঁড়িয়ে থাকেন প্রধানমন্ত্রী। পরে ১৫ই আগস্টে শহীদদের জন্য দোয়া মোনাজাত করা হয়।
দলের নেতাদের নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শ্রদ্ধা জানান বঙ্গবন্ধুর প্রতি। শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ডক্টর শিরীন শারমিন চৌধুরী। শ্রদ্ধার মিছিলে যোগ দেয় আওয়ামী লীগের সহযোগি সংগঠন ও বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, আমেরিকা, কানাডা ও জাতিসংঘের কাছে প্রশ্ন, আমরা মানবতা নিয়ে এত এত কথা বলেন, কিন্তু এতবড় হত্যাকাণ্ডের হোতাদের কোন মানবতার খাতিরে ফেরত দেননা। আমরা চাই দ্রুত আপনারা বঙ্গবন্ধুর খুনীদের আমাদের কাছে ফেরত দেবেন।
স্বাধীনতার এই মহান নেতাকে যারা খাটো করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে হুশিয়ারী দেন আওয়ামী লীগের এই নেতা।
বলেন, বাংলাদেশ মানেই বঙ্গবন্ধু। যারাই বঙ্গবন্ধুকে খাটো করতে চেয়েছে তারাই আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে। তাদের অস্তিত্ব বাংলার মাটিতে থাকবে না। তারা একাত্তরের পরাজিত শক্তির এজেন্ট ও ষড়যন্ত্রকারী হিসেবেই চিহ্নিত হয়েছে, ভবিষ্যতেও হবে।
জাতীয় শোক দিবসে বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ চত্বরে আয়োজন করা হয় মিলাদ মাহফিলের।
বিস্তারিত দেখুন নিচের ভিডিও রিপোর্টে: