আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) সম্প্রতি একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ২০১৯ ছেলেদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি দেখা বিশ্বকাপ। বিশ্ব আসরের সাফল্যের পর সংস্থাটি যখন মাথা উঁচু করে রাখছে, ঠিক তখনই বিদ্রূপের বিষয় হচ্ছে, আন্তর্জাতিক (ওয়ানডে) ফরম্যাটটি পছন্দের ফরম্যাট হিসাবে দ্রুতই গুরুত্ব হারিয়ে চলেছে।
২০২২ সাল পর্যন্ত আইসিসি প্রকাশিত ফিউচার ট্যুরস প্রোগ্রাম (এফটিপি) বলছে, এই সময়ে কোনো দ্বিপক্ষীয় সিরিজেই তিনটির বেশি ওয়ানডে হবে না। কিন্তু এই সময়ে টি-টুয়েন্টির সংখ্যা বেড়েছে।
সময়টাতে এমনও সিরিজ রয়েছে যেখানে পরের তিন বছরে ওয়ানডের সংখ্যা কত হবে সেটা ঠিকই করা হয়নি। কিন্তু কিছু সিরিজে অভূতপূর্বভাবে পাঁচটি পর্যন্ত টি-টুয়েন্টি ম্যাচ রয়েছে। স্পষ্টতই সীমিত ওভারের ফরম্যাট হিসাবে টি-টুয়েন্টি প্রাধান্য হয়ে উঠছে।
আইসিসির একটি সূত্র টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেছে, ‘দ্বিপাক্ষিক সিরিজগুলো অংশগ্রহণকারী দুটি বোর্ড দ্বারা সম্পূর্ণরূপে সংগঠিত হয়। আইসিসি কম ওয়ানডে খেলার মতো কোনো নির্দেশনা দেয়নি। তবে হ্যাঁ, টি-টুয়েন্টি ক্রিকেট প্রোমোটের জন্য আলোচনা হয়েছে।’
আইসিসির সূত্র অনুযায়ী, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের মধ্যদিয়ে টেস্ট ক্রিকেট পুনরুদ্ধার এবং টি-টুয়েন্টির মাধ্যমে খেলাটির বিশ্বায়নের বিষয়ে অগ্রাধিকার স্পষ্ট। টি-টুয়েন্টির বিরাট উত্থানের কারণে আইসিসিকে ২০২১ সালের ‘আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি’র পরিবর্তে ২০২০’র অক্টোবর-নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ায় নির্ধারিত টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের পর ভারতে আরও একটি টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
টি-টুয়েন্টি ক্রিকেট প্রমোটে কিছুদিন ধরেই আইসিসি বেশ আগ্রাসী। সংস্থাটি বিশ্বজুড়ে খেলাটি ছড়িয়ে দেয়ার জন্য পছন্দের বাহন হিসাবে টি-টুয়েন্টিকে চিহ্নিত করেছে।
আইসিসির ওই সূত্র টাইমস অব ইন্ডিয়াকে জানায়, ‘আমরা ২০২৩ বিশ্বকাপের এক বছর আগে ওয়ানডে ফরম্যাটের পুনরুত্থান দেখতে পাচ্ছি। আইসিসি দ্বিপক্ষীয় সিরিজগুলোতে হস্তক্ষেপ করে না, তবে বৈশ্বিক ইভেন্টগুলোতে যোগ্যতা অর্জনের কোয়ালিফাইংয়ে আইসিসি ফরম্যাটের জন্য সর্বনিম্ন ম্যাচের কিছু পরামর্শ দেয়।’
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য অভিন্নতার চ্যালেঞ্জ
ওয়ানডেতে না হলেও আইসিসি এখনো বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফরম্যাট বাছাইয়ের পদক্ষেপ নিয়ে আসছে।
বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থার দাবি, ‘টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট সিস্টেম এবং প্রতিটি দলের খেলা ম্যাচের সংখ্যা সম্পর্কে বেশ কয়েকটি ইস্যু উত্থাপিত হয়েছে। মানুষ অ্যাশেজ এবং ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার সিরিজে দেয়া পয়েন্ট ভাগাভাগিতে বৈষম্যর কথা তুলেছে। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ঘোষণার আগে এফটিপি তৈরি করা হয়েছিল। তবে আইসিসি যথাসম্ভব অভিন্নতা আনার চেষ্টা করেছে। পরবর্তী এফটিপি চূড়ান্ত হয়ে গেলে, সমতা আনার বিষয়ে ঐক্যমত্য পৌঁছানো যেতে পারে।’