দেশের করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারির ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আব্দুল লতিফ বকসী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি জানান, ‘করোনা ভাইরাসের কারণে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের সুষ্ঠু সরবরাহ নিশ্চিত করতে এবং পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখাসহ বাজার মনিটরিং কার্যক্রম অব্যাহত রাখার স্বার্থে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন টিসিবি এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারির সবধরনের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।’
এর আগে সুপার শপ, সুপার মার্কেট ও সাধারণ মার্কেটগুলো আগামী ২৫ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে মুদি দোকান, ওষুধের দোকান ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দোকানগুলো খোলা থাকবে।
গতকাল সোমবার করোনা ভাইরাস সংক্রমণরোধে আগামী ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার।
এছাড়াও একই সময় পর্যন্ত সারাদেশে গণপরিবহন বন্ধ (লকডাউন) রাখার কথাও জানানো হয়েছে।
এ সময়ে অতি প্রয়োজন ছাড়া সবাইকে বাইরে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। একইসঙ্গে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে আজ থেকেই মাঠে নেমেছে সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যরা।
দেশে নতুন করে গতকাল আরও ছয়জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩৩ জন। মারা গেছেন তিন’জন। সুস্থ হয়ে পাঁচজন বাড়ি ফিরেছেন।
প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে ৪৬ জন। হোম কোয়ারেন্টাইনে ১৪ হাজার জন। আইসোলেশনে রয়েছেন ৫১ জন।
গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের উহানে প্রথম শনাক্ত হওয়া করোনা ভাইরাস এখন বৈশ্বিক মহামারি। এতে এতে সারাবিশ্বে এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ৮২ হাজারেরও বেশি মানুষ। মারা গেছেন ১৬ হাজার ৫৬৯ জন। এছাড়াও চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন লক্ষাধিক মানুষ।