চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

টিপ পরায় শিক্ষিকাকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নিন্দা

পুলিশের পোষাক পরিহিত ব্যক্তির দ্বারা কলেজ শিক্ষিকার লাঞ্ছনার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’। রোববার সংগঠনের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, গণমাধ্যমে কলেজ শিক্ষিকা ড. লতা সমাদ্দারকে কপালে টিপ পরার জন্য পুলিশের পোষাক পরিহিত ব্যক্তির দ্বারা লাঞ্ছনার ন্যাক্কারজনক ঘটনায় আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন ও ক্ষুব্ধ। শিক্ষিকা ড. লতা সমাদ্দার অভিযোগ করেছেন- উক্ত পুলিশ তাকে […]

পুলিশের পোষাক পরিহিত ব্যক্তির দ্বারা কলেজ শিক্ষিকার লাঞ্ছনার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’।

রোববার সংগঠনের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, গণমাধ্যমে কলেজ শিক্ষিকা ড. লতা সমাদ্দারকে কপালে টিপ পরার জন্য পুলিশের পোষাক পরিহিত ব্যক্তির দ্বারা লাঞ্ছনার ন্যাক্কারজনক ঘটনায় আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন ও ক্ষুব্ধ। শিক্ষিকা ড. লতা সমাদ্দার অভিযোগ করেছেন- উক্ত পুলিশ তাকে শুধু টিপ পরার জন্যই কটুক্তি করেনি, তিনি প্রতিবাদ করায় তার পায়ের উপর দিয়ে মোটর সাইকেলের চাকা চালিয়ে দিয়েছে।

আমরা পাকিস্তান আমলে এবং স্বাধীন বাংলাদেশে পাকিস্তানপন্থী বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের ব্যক্তিদের দ্বারা এ ধরনের উৎকট সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষের ঘটনার কথা জানি। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সরকারের আমলে পুলিশের কোনও সদস্য হিন্দু হওয়ার কারণে একজন কলেজ শিক্ষককে প্রকাশ্যে এভাবে লাঞ্ছিত করতে পারে- এর নিন্দা জানাবার ভাষা আমাদের জানা নেই।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, কিছুদিন আগে এক মৌলবাদী সংগঠনের নেতা প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে বলেছেন, ভারতে মুসলিম মেয়েদের স্কুলে হিজাব পরতে না দিলে বাংলাদেশে হিন্দু নারীদের শাঁখা-সিঁদুর-টিপ পরতে দেয়া হবে না। এ ধরনের সংবিধানবিরোধী এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিদ্বেষী সাম্প্রদায়িক উষ্কানিমূলক বক্তব্যের জন্য এই মৌলবাদী নেতার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় নি। সাম্প্রদায়িক দুর্বৃত্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া না হলে তার পরিণাম কী হতে পারে তার একটি উদাহরণ হচ্ছে কলেজ শিক্ষিকা ড. লতা সমাদ্দারের লাঞ্ছনার এই চরম নিন্দনীয় ঘটনা।

সিসিটিভির ক্যামেরার ফুটেজসহ অন্যান্য প্রমাণ তদন্ত করে এই পুলিশ সদস্যকে দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেবার দাবি জানায় ঘাতক দালাল নিমূল কমিটি।

বিবৃতিতে বলা হয়, অন্যথায় এ ধরনের সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ও লাঞ্ছনার ঘটনা আরও বৃদ্ধি পাবে যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বিনষ্টসহ আগামীতে আমাদের অসাম্প্রদায়িক বাঙালিত্বের চেতনার সকল অর্জন ধ্বংস করবে।’