বিপিএলে এলিমিনেটর ম্যাচ মানেই হেরে যাওয়া দলের বিদায়, আর জয়ী দলের ফাইনাল ওঠার পরীক্ষায় টিকে থাকা। এমন সমীকরণের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে রংপুর রাইডার্স ও খুলনা টাইটানস। টিকে থাকার লড়াইয়ে মাশরাফীর রংপুরকে ১৬৮ রানের টার্গেট দিয়েছে মাহমুদউল্লাহর খুলনা।
শুক্রবার দিনের ম্যাচ হলেও মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে ফ্লাডলাইটের আলোয় ব্যাটিং করতে হয়েছে খুলনাকে। একদিকে মেঘাচ্ছন্ন আকাশ, তার উপর টস হার; মাশরাফী-রুবেল-মালিঙ্গা সমৃদ্ধ পেস আক্রমণের সামনে কঠিন পরীক্ষার অপেক্ষাই ছিল টাইটানসের ব্যাটসম্যানদের। তাতে কেউ খুব বেশি সফলও হলেন না, হলেন না ব্যর্থও। দলীয় প্রচেষ্টার এক ইনিংসে নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৭ রানের লড়াকু সংগ্রহই দাঁড় করিয়েছে খুলনা।
গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটিতে শুরু থেকেই প্রতিপক্ষকে চাপে রাখে রংপুরের বোলাররা। পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারের মধ্যে দুই তরুণ ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে রান আটকে রাখেন তারা। এসময় শান্ত ১৫ ও আফিফ ১১ রানে ফিরে যান।
রান বাড়ানোর দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে উইকেটে এসে ঝড় তোলেন মাহমুদউল্লাহ। তার ৬ বলে দুটি করে চার-ছক্কায় ২০ রানের ইনিংসটিও অবশ্য দ্রুতই থেমে যায়। তার আগেই দলীয় ফিফটি পেয়ে যায় খুলনা, ৬.১ ওভারে।
মাহমুদউল্লাহর বিদায়ে রানের চাকা থেমে যায় আবারও। দলীয় রান তিন অঙ্ক পেরোয়া ১৩.৫ ওভারে। তবে শেষদিকে ব্র্যাথওয়েট ও পুরান ঝড় তুলে সংগ্রহ দেড়শ পেরিয়ে নেন।
মাঝে ইনফর্ম আরিফুল হক ৩০ বলে ২৯ রান করে ফেরেন সাজঘরে। বাজে ফিল্ডিংয়ের কারণে বেশ কয়েকটি বাউন্ডারি পেয়ে যাওয়া ব্রেথওয়েট শেষ পর্যন্ত ৯ বলে ২৫ রানে অপরাজিত থাকেন, ৩ চার ও এক ছয় এসেছে তার ব্যাটে। আরেক ক্যারিবিয়ান পুরার ২২ বলে ২৮ করে মালিঙ্গার বলে ফিরেছেন।
মালিঙ্গা ২টি উইকেট পেয়েছেন। একটি করে উইকেট গেছে সোহাগ গাজী, নাজমুল ইসলাম, রুবেল হোসেন ও রবি বোপারার দখলে। উইকেটহীন থাকেন মাশরাফী, তবে রান দেয়ায় সবচেয়ে কিপটে ছিলেন এই পেসার; ৪ ওভারে দিয়েছেন ২৩ রান।