ছোট মাঠ। প্রতিপক্ষ দলে বিগ হিটারের ছড়াছড়ি। বাংলাদেশের বিপক্ষে রানের পাহাড় গড়ার মঞ্চ প্রস্তুতই ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। হোল্ডাররা সে পথে এগোতে থাকার মাঝে আলো কেড়ে নেন মোস্তাফিজুর রহমান। তার একটি ওভারই দৃশ্যপট পাল্টে দেয়! জোড়া আঘাতে বাংলাদেশকে লড়াইয়ে ফিরিয়ে আনেন ফিজ। সোমবার উইন্ডিজের বিপক্ষে পাওয়া ৭ উইকেটের বড় জয়ে মোস্তাফিজের ওই ওভারকে টার্নিং পয়েন্ট মানছেন মাশরাফী।
টন্টনে দুর্দান্ত জয়ের পর ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে মোস্তাফিজের করা ইনিংসের ৪০তম ওভারকে বেছে নিলেন মাশরাফী। ম্যাচ শেষে টাইগার দলনায়ক বললেন, ‘ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট হল মোস্তাফিজের ওই দুই উইকেট নেয়া।’
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ৩২১ রানের পাহাড় গড়েছিল উইন্ডিজ। জবাবে সাকিবের অনবদ্য সেঞ্চুরি এবং লিটন দাসের হার না মানা ৯৪ রানে ৪১.৩ ওভারে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে হেসেখেলেই জেতে বাংলাদেশ।
চতুর্থ উইকেটে ১৩৫ বলে লিটনকে নিয়ে ১৮৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন সাকিব। ৯৯ বলে ১৬ চারে ১২৪ রানের অপরাজিত ইনিংস বাঁহাতি তারকার। চলতি বিশ্বকাপে যেটি সাকিবের ব্যাট-টু-ব্যাক সেঞ্চুরি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১২১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন আগে।
এদিন ৩৯ ওভারেই ৩ উইকেটে ২৪০ রান তুলে ফেলেছিল উইন্ডিজ। ক্রিজে বিপজ্জনক হেটমায়ার ও শাই হোপ তখন। ঝড় তোলার জন্য জেসন হোল্ডার, আন্দ্রে রাসেল ও ড্যারেন ব্রাভোর মতো টি-টুয়েন্টি স্পেশালিস্টরা নামার অপেক্ষা করছেন। উইন্ডিজের রান তখন সাড়ে তিনশ পেরোবে বলেই মনে হচ্ছিল! তখনই ত্রাতার ভূমিকায় ফিজ। এক ওভারে দুই উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন কাটার মাস্টার।
সেটি ছিল ইনিংসের ৪০তম ওভার। আক্রমণে এসে তৃতীয় বলে বিপজ্জনক হেটমায়ারকে তামিমের ক্যাচ বানান মোস্তাফিজ। ২৬ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৫০ রান করা ক্যারিবিয়ানকে ফিরিয়ে স্বস্তি আনেন।
হেটমায়ার ফিরেছেন তো কী হয়েছে। আন্দ্রে রাসেল আছেন না! তবে এ মারকুটে ব্যাটসম্যানকে রানের খাতাই খুলতে দেননি মোস্তাফিজ। ওই ওভারের শেষ বলে উইকেটের পেছনে মুশফিককে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন রাসেলকে। পরে ৪৭তম ওভারে আক্রমণে এসে শাই হোপকেও (৯৬) ফেরান বাঁহাতি পেসার। খরুচে হলেও দিনটি যে মোস্তাফিজুরেরও, সেটিই মনে করিয়ে দিলেন মাশরাফী।