টাঙ্গাইলে উপসর্গ নিয়ে চারজনসহ করোনায় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়াও ২৩৫ জন আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছে।
শুক্রবার সকালে টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো.শাহাব উদ্দিন খান এটি নিশ্চিত করেছেন।
জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ সূত্র জানায়, টাঙ্গাইলে প্রথম করোনা রোগি আক্রান্ত হয় গত বছরের ৮ এপ্রিল। বৃহস্পতিবার ১ জুলাই ভোর ৬ টা থেকে শুক্রবার ২ জুলাই ভোর ৬ টা পর্যন্ত ৫২৬ টি নমুনা পরীক্ষা করে ২৩৫ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৪৪ দশমিক ৬৭ শতাংশ। জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা আট হাজার ১৯৯ জন। মোট মৃত্যু ১১৮ জন।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) শফিকুল ইসলাম সজিব জানান, জুনে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে শতাধিক রোগির মৃত্যু হয়েছে।
![](https://i0.wp.com/www.channelionline.com/wp-content/uploads/2024/02/Channeliadds-Reneta-16-04-2024.gif?fit=300%2C250&ssl=1)
তিনি জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলা, মাস্ক ব্যবহার না করার কারণে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। প্রতিদিন হাসপাতালে রোগি সংখ্যা বাড়ছে।
সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাব উদ্দিন খান বলেন, অতি জরুরি ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়া যাবে না। অসুস্থ হলেও ঘর থেকে চিকিৎসা নিতে হবে। অতি গুরতর হলে হাসপাতালে আসতে হবে। করোনা প্রতিরোধে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি বলেন, কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে সকাল থেকেই মাঠে রয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। জেলায় লকডাউন বাস্তবায়নে ২৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী পুলিশ, বিজিবি, আনসারের ৮০০ সদস্য মাঠে রয়েছেন। এছাড়াও জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পয়েন্টে ১১৩টি চেকপোস্ট বসিয়ে লকডাউন কার্যকর করা হচ্ছে। লকডাউন অমান্য করে কেউ যেন টাঙ্গাইলে প্রবেশ না করতে পারে- সে লক্ষ্যে সিরাজগঞ্জ ও গাজীপুরের জেলা প্রশাসককে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে। এ ছাড়াও লকডাউন অমান্য করে আসা কোনো যানবাহনকে বঙ্গবন্ধু সেতু পারাপার না করতে সেতু কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে।