টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে তিন স্কুল ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার চার আসামির মধ্যে ইউসুফ ও বাবুল ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে।
আজ বিকেলে টাঙ্গাইল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সুমন কুমার কর্মকার ও মো.আরিফুল ইসলামের কাছে এ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয় তারা।
এর আগে আজ দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত ইউসুফ, বাবুল ও সুজনকে আদালতে পাঠায় পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের নিয়ে অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালায় পুলিশ।
এবিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সরকারি কৌশলী এস আকবর খান জানান, আজ বিকেলের দিকে তাদের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে ২ জনের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী শেষে তাদের জেল হাজতে পাঠনোর নির্দেশ দেন আদালত।
উল্লেখ্য, রোববার তাদের স্কুলে ছিলো এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে যোগ না দিয়েই তারা চার বান্ধবী ও তাদের দুই বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে উপজেলার সাতকুয়া পাহাড়ি এলাকায় অটোরিকশা যোগে বেড়াতে যায়। এসময় তাদেরকে দুর্বৃত্তরা ঘিরে ফেলে। বেদম মারধর করে বন্ধু হৃদয়, শাহীন ও অটোরিকশা চালককে। মারধোরের পর ভয়ভীতি দেখিয়ে তাড়িয়ে দেয় অটোরিকশা চালককে।
পরে অন্যদের আটকে রেখে ওই তিনজনকে বনের মধ্যে আলাদা আলাদা স্থানে ধর্ষণ করে দুর্বৃত্তরা। অপরজন শারীরিক গঠনে ছোট ও চিৎকার না করার শর্তে ধর্ষণ থেকে বিরত থাকে তারা। বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলে তাদের পৈচাশিক নির্যাতন। পরে তাদের অবস্থার অবনতি হলে ফেলে চলে যায় ধর্ষণকারীরা। সেখান থেকে এক ছাত্রীর আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেয় তারা। সেখান থেকে বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ গভীর রাতে তাদের উদ্ধার করে।
পরে এক ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৫/৭ জনের বিরুদ্ধে ঘাটাইল থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ রাতে চার জনকে গ্রেপ্তার করে।