চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

টাঙ্গাইলে বউ-শাশুড়িসহ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলের দিগর ইউনিয়নের কাশতলা গ্রামের প্রবাসী জয়েন উদ্দীনের বাড়ি থেকে তালাবন্ধ অবস্থায় তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় গুরুতর আহত অবস্থায় তিন বছরের এক শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

নিহতরা হলেন প্রবাসী জয়েন উদ্দীনের মাতা জামেলা বেগম (৫৫), স্ত্রী সুমি আক্তার (২৫) ও কালিহাতীর সাতুটিয়া গ্রামের ভাঙাড়ি ব্যবসায়ী শাহজালাল ( ২৮) সুমি আক্তারের সাবেক স্বামী। এসময় আহতবস্থায় সুমি আক্তারের ৩ বছরের শিশু পুত্র সাফিকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থাও আশঙ্কাজন।

প্রবাসী জয়েন উদ্দীনের ভাইয়ের স্ত্রী শাহনাজ বলেন, আমার শ্বাশুড়ি সকালে নামাজ পড়ার পর হাঁটতে বের হন। আজ অনেক বেলা হয়ে গেলেও তার ও সুমিদের খোঁজ নিতে যাই। ঘরের মূল দরজায় তালাবন্ধ থাকায় বাইর থেকে তাদের অনেক ডাকাডাকি করলেও কারও সাড়াশব্দ না পেয়ে সাড়ে সাতটার দিকে অন্যদের খবর দেই। পরে অন্যরা শাবল এনে তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করলে তিনজনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখি। আর শিশুটিকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘটনাস্থল থেকে চাকু ও ছোরা উদ্ধার করা হয়েছে।

জমিলা বেগমের ভাই মোখলেছ বলেন, শাহজালারের সাথে সুমি এক বছর আগে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। পরে ভাগিনা তার শিশু সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে কয়েকমাস আগে সুমিকে ফিরিয়ে এনে আবার ঘরসংসার করে তিনি আগে সৌদি চলে গেছেন।

প্রতিবেশীরা বলেন, জয়েন বিদেশ চলে যাবার পরেও সুমির সাথে শাহজালারের যোগাযোগ ও বন্ধুত্ব ছিল। সেই যোগাযোগ থেকে রাতের কোন এক সময় হয়তো শাহজালাল সুমিদের ঘরে প্রবেশ করে থাকতে পারে।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলেন সুমি ও শাহজালালেরর বিষয়টি নিয়ে আগে একাধিকবার শালিস হয়েছে। সম্পর্কের ফাঁটল থেকেই এমন হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।

ঘাটাইল থানার ওসি আজহারুল ইসলাম সরকার জানান, উপজেলার কাশতলা এলাকার একটি বাসায় তিনজনের লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন তিনি।  শাশুড়ি জমেলা বেগম, ছেলের বউ সুমি ও শাহজালাল নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে প্রেমঘটিত কারণে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে আসা র‍্যাব টাঙ্গাইলের কোম্পানী কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে প্রেমঘটিত সম্পর্কের দ্বন্দ্ব থেকেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। তবে হত্যা করে আত্মঘাতী হয়েছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। আমরা সেই বিষয়গুলিও মাথায় রেখে ছায়া তদন্ত করছি। আশা করি দ্রুত সময়ে ঘটনার আসল কারণ জানা যাবে।