টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে প্রেমের জের ধরে সুমন (২২) নামের এক কলেজ ছাত্রকে নির্মম ভাবে খুন করা হয়েছে। সুমন ফলদা গ্রামের রমজান আলীর ছেলে এবং ভূঞাপুর ইবরাহীম খা সরকারি কলেজের স্নাতক প্রথম বর্ষের ছাত্র।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ফলদা গ্রামের রমজান আলীর ছেলে কলেজ পড়ুয়া ছাত্র সুমনকে প্রেমের জের ধরে শনিবার রাত সাড়ে দশটার দিকে একই গ্রামের তারা মিয়ার ছেলে রিপন মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ডেকে নিয়ে যায়। পরে তাকে পার্শ্ববর্তী গোপালপুর উপজেলার সুজানপুর গ্রামের মতিয়ারের ছেলে সোহেল ও মহসিনসহ অন্যরা নির্মমভাবে মারধর করে।
মারধরের পর সুমনের শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে তাকে টিউবয়েল চোর হিসেবে এলাকায় প্রচার করে। পরে স্থানীয়রা সুমনকে সারা রাত একটি ঘরে বেঁধে রেখে সকালে সুমনের পরিবারে খবর দেয়। খবর পেয়ে সুমনের পরিবার তাকে উদ্ধার করে প্রথমে গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে রোববার দুপুরে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে সুমনের মৃত্যু হয়।
প্রেমের জের ধরেই এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানান সুমনের চাচা অন্নোছ আলী। তিনি বলেন, ‘সকালে আমরা খবর পাই সুমনকে টিউবয়েল চুরির দায়ে আটকে রাখা হয়েছে। সেখানে গিয়ে দেখি সুমনের অবস্থা গুরুতর। পরে ওই এলাকার লোকজন আমাদের সাদা কাগজে স্বাক্ষর রেখে সুমনকে গুরুতর অবস্থায় ফেরত দিলে আমরা তাকে গোপালপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি। দুপুরে তার অবস্থার অবনতি হলে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে সে মারা যায়। মারা যাবার আগে সে সবকিছু বলে গেছে। প্রেমের জের ধরেই এ ঘটনা ঘটেছে।’
এলাকাবাসী জানায়, সুমন অনেক ভালো ছেলে ছিলো। সে কোনোদিন চুরি করতে পারে না।
থানীয় ফলদা স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীর সাথে প্রেম সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পাশ্ববর্তী তারা মিয়ার ছেলে রিপনের সাথে দীর্ঘদিন ধরে মতবিরোধ ছিলো। তানজিলা সুমনকে ভালবাসতো এটাই মেনে নিতে পারেনি রিপন। এ কারণেই সুমনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে অজ্ঞাত আরো কয়েকজন মিলে পরিকল্পিতভাবে সুমন খুন করা হয়েছে।
গোপালপুর থানা অফিসার ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এবিষয়ে ভূঞাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের হবে।’