ধান আবাদে খরচ কমাতে বিকল্প পদ্ধতিতে ধানের আবাদ করছেন টাঙ্গাইলের কৃষকরা। এতে লাভবানও হয়েছেন তারা। নতুন পদ্ধতিতে ধান উৎপাদন করায় খরচ এক তৃতীয়াংশ কমেছে বলে জানান কৃষকরা।
এক সময় সরিষা চাষ করে ওই একই জমিতে বোরো আবাদ করার জন্য নতুন করে জমি তৈরি করতে হতো কৃষকদের। প্রয়োজন হতো বাড়তি সারের। এখন বিকল্প পদ্ধতিতে ধান আবাদ করছেন কৃষকরা।
ধানের আগে সরিষা চাষ করতে যে সার ব্যবহৃত হচ্ছে সেই সার দিয়েই ধান আবাদ করা যাচ্ছে। কৃষক জানান, সরিষায় ব্যবহৃত সারের কার্যকারিতা সম্পূর্ন নষ্ট হয় না। সরিষায় ব্যবহৃত প্রায় অর্ধেক সার কাজে লাগানো হচ্ছে ধানে। আর বাকি অর্ধেক জমিতে নতুন সার ব্যবহার করা হচ্ছে।
একজন কৃষক বলেন, এখন আমরা বোরো ধান কাটার পর সরিষা লাগাই।এরপর আগাছা নিধন করে ধান লাগাই।তাতে আমাদের খরচ অনেক কম হয় এবং ধানের প্রচুর ফলন হয়। তবে ধানের বাজারমূল্য উৎপাদন খরচের চেয়ে কম হওয়ায় ধান আবাদে মার খাচ্ছেন কৃষক। তারা জানান, উৎপাদন খরচ কমানো না হলে তাদের পক্ষে ধান চাষ করা সম্ভব নয়।
অন্য একজন কৃষক বলেন, সরকার যদি ধানের দামটা একটু বেশি দিতো; তাহলে আমরা অনেক লাভবান হতাম। ধানের দাম অনেক কম কিন্তু শ্রমিকের মূল্য অনেক বেশি।
নতুন পদ্ধতিতে ধান আবাদে কৃষককে সব ধরনের পরামর্শ ও সহায়তা দিচ্ছে আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের সিসাবিডি প্রকল্প।
কৃষি গবেষণা ও উন্নয়ন কর্মকর্তা মোখলেসুর রহমান বলেন, সরিষা চাষ করার ফলে তিনটা ফসল যে পাচ্ছে, এর ফলে কৃষকের চাষ খরচ বেঁচে যাচ্ছে এবং সারের পরিমাণটাও কম লাগছে।
আগামীতে ধান চাষের নতুন পদ্ধতি সর্বত্র ছড়িয়ে দেয়ার উদ্যোগ নেবে সিসাবিডি প্রকল্প।