টাঙ্গাইলের গোপালপুরে আলোচিত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক গৃহবধূকে ধর্ষণের পর হত্যার সাথে জড়িত অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল এবং মানববন্ধন করেছে জাতীয় হিন্দু মহাজোট ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ।
বৃহস্পতিবার গোপালপুর বড় কালিমন্দির থেকে একটি মিছিল শুরু হয়ে পৌর এলাকা প্রদক্ষিণ শেষে থানার সামনে গিয়ে মানববন্ধনের আয়োজন করে। এ সময় গোপালপুর-মধুপুর-ধনবাড়ি সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভকারীরা দোষীদের শাস্তি দাবি করে বক্তব্য প্রদান করেন।
জানা যায়, গোপালপুর উপজেলার ঝাওয়াইল ইউনিয়নের পাকুটিয়া পালপাড়া গ্রামের মহাদেবের স্ত্রীকে স্থানীয় বখাটেরা দীর্ঘদিন যাবৎ কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। গত ২ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় বখাটে আয়নাল নিহত গৃহবধূকে একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। পরে স্থানীয়রা তার চিৎকার শুনে এগিয়ে এলে আয়নাল পালিয়ে যায়। পরে গৃহবধূ ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোস্তাফিজুর রহমানের কাছে অভিযোগ করলে বিষয়টি মীমাংসার আশ্বাস দেন ওই ইউপি সদস্য।
এদিকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে আয়নাল হক আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। ৩ জুলাই ধর্ষিতার স্বামী বাড়িতে না থাকার সুযোগে আয়নাল হক তার সহযোগীদের নিয়ে নলিতার ঘরে প্রবেশ করে তাকে ধর্ষণ করার পর হত্যা করে পালিয়ে যায়।
অন্যদিকে হত্যার ঘটনার পর ধর্ষণের পর হত্যার শিকার নারীর স্বামী বাদী হয়ে গোপালপুর থানায় আয়নাল হক ও ইউপি সদস্য মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে সজিবসহ ৬জনকে আসামি করে অজ্ঞাত আরও ৩জনের নামে একটি মামলা দায়ের করেন।
হত্যার ঘটনায় পুলিশ মূল আসামি আয়নাল হকের বউসহ তিনজন নারী আসামিকে গ্রেফতার করে জেল-হাজতে প্রেরণ করে।
এদিকে হত্যা মামলা তুলে নিতে ধর্ষিতার স্বামীকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে আসামিরা।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, পুলিশ হত্যা মামলার ঘটনা ভিন্নদিকে প্রভাবিত করছে। আসামিদের ধরা হচ্ছেনা। নলিতা হত্যার কঠোর শাস্তি দাবী করেন তারা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি গৌরাঙ্গ বিশ্বাস, টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি বিপ্লব কুমার দত্ত পল্টুন, গোপালপুর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মরিয়ম আক্তার মুক্তা, শহর আওয়ামী লীগে’র সভাপতি এস এম রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।