টাঙ্গাইলে র্যাবের সঙ্গে বন্দুক যুদ্ধে নিহত দুই জঙ্গির মরদেহ টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। টাঙ্গাইল মেডিকেল অফিসার ডা: মোহাম্মদ আব্দুস সোবহান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো মামলা হয়নি।
এর আগে র্যাব-১২-এর ৩ নম্বর কোম্পানি কমান্ডার মহিউদ্দিন ফারুকীর পক্ষ থেকে পাঠানো খুদে বার্তায় জানানো হয়, নিহত দুই জঙ্গির নাম আতিকুর রহমান ও সাগর হোসেন। দুজনেরই বয়স ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। আতিকুরের বাবার নাম লতিফুর রহমান। তার বাড়ি চারঘাট উপজেলার নিমপাড়া গ্রামে। আর সাগর একই উপজেলার ইউসুবপুরের জুনায়েদ হোসেনের ছেলে।
গত শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই অভিযান চালানো হয়। র্যাব-১২ এর ৩ নম্বর কোম্পানি কমান্ডার মহিউদ্দিন ফারুকীর ভাষ্য মতে, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে বাড়িটিতে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অভিযান চালানো হয়। ভেতরে ঢোকার পর এক ‘জঙ্গিকে’ গ্রেপ্তার করতে গেলে ধস্তাধস্তি হয়।
এ সময় অন্য জঙ্গি র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ার চেষ্টা চালায়। র্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এতে দুজন জঙ্গি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়। পরে বেলা দেড়টার দিকে বোমা বিশেষজ্ঞ দলকে নিয়ে ভেতরে ঢোকে র্যাবের দল। এরপর তারা লাশ দুটি বের করে নিয়ে আসে। ঘর থেকে ১ পিস্তল, ১ রিভলবার, ১০টি চাপাতি, ২টি ছুরি/ডেগার, ২টি ল্যাপটপ ও ৬৪ হাজার ৯৬২ টাকা উদ্ধার হয়েছে।
ওই বাড়ির মালিক অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক আজাহার আলী বলেন, ছাত্র পরিচয়ে গত ২৭ সেপ্টেম্বর তারা বাড়ির নিচতলার একটি কক্ষ ভাড়া নেয়। এ সময় তাদের কাছে জাতীয় পরিচয়পত্র চাওয়া হলে বলেছিল দু-এক দিনের মধ্যে দিয়ে দেবে।