টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার সকল সেলুনে চুলকাটা ও দাড়ি-গোঁফের মডেলিংয়ের ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা, অমান্যে ৪০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা উল্লেখ করে নোটিশ দিয়েছে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রাশিদুল ইসলাম।
তবে নোটিশের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুক্রবার সকালে বিভিন্ন সেলুনে সাঁটানো নোটিশ তুলে নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ওসি।
এ বিষয়ে শীল সমিতির সভাপতি শেখর জানান, সম্প্রতি ছাত্র ও যুবকসহ সকলের চুলকাটা দাড়ি-গোঁফের মডেলিং এবং রঙ না করার বিষয়ে ভূঞাপুর থানার ওসি আমাদের থানায় ডেকে নিয়ে সতর্ক করে দেন। পরে আইনটির লিখিত আদেশ চাইলে তিনি আমাদের এই মর্মে একটি নোটিশ লিখে আনতে বলেন। আমরা তা লিখে তার নিকট নিলে তিনি তাতে সিল-স্বাক্ষর করে দিয়ে সকল সেলুনে সাটিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেন। পরে ওই নোটিশে আমরা সভাপতি ও সম্পাদক স্বাক্ষরিত করে উপজেলার সকল সেলুনে সাঁটিয়ে দেই। আজ আবার তিনি তা তুলে ফেলার নির্দেশ দিলে পুলিশ সদস্য ও আমরা মিলে তা তুলে ফেলি।
এ বিষয়ে এলাকার বেশকিছু অভিভাবক ও শিক্ষকগণ মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, বিষয়টি ব্যক্তির নিজস্ব হলেও ইদানীং কিছু ছেলে দৃষ্টিকটু ভাবে নানা রঙে-ঢংঙে চুলদাড়ি কাটছে। যার দায় ওই অভিভাবক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের। তাদের গাফিলতির কারণে এ ঘটনা এতদূর গড়িয়েছে বলে মনে করেন তারা। তবে ওসি এ বিষয়ে আইন প্রণয়ন করতে পারেন কি’না প্রশ্নে কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি।
এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মো.রাশিদুল ইসলাম বলেন, কিছু অভিভাবক এবং শিক্ষকরা বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ করেন যে, স্কুল-কলেজের কিছু শিক্ষার্থীরা বখাটে ছেলেদের অনুকরণ করে চুলের নানা ধরনের স্টাইল করছে, যা দৃষ্টিকটু। এ নিয়ে একাধিকবার অভিভাবক, শিক্ষক এবং স্থানীয় সেলুন মালিকদের নিয়ে বৈঠক করে মৌখিক ভাবে অনুরোধ করা হয়। কিন্তু তাতে কাজ না হওয়ায় শীল সমিতি একটি নোটিশ জারি করে। এতে আমি স্বাক্ষর করে দেই। পরে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠায় আমি নোটিশ তুলে নিতে বলি এবং নোটিশটি তুলে নেয়া হয়েছে।