চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

টাঙ্গাইলের কাঁঠালের বাজারে ধস

টাঙ্গাইলে মৌসুমি ফল কাঁঠালের বাজারে ধস নেমেছে। হাজার হাজার কাঁঠাল বাজারে উঠলেও ক্রেতা মিলছে না। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভ্যান ভাড়াও উঠছে না কৃষকের।

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল, মধুপুর, সখীপুর, মির্জাপুরসহ ১২ উপজেলায় প্রতি বছরই প্রচুর কাঁঠাল উৎপাদন হয়। প্রত্যেক কাঁঠাল বাগান মালিকের বাড়িতেই রয়েছে ছোট-বড় বাগান। কিন্তু এবার বাজারে কাঠালের চাহিদা নেই বললেই চলে।

ঘাটাইলের এক বাগান মালিক জানালেন, অন্যান্য বারের তুলনায় এবার কাঁঠালের দাম কম। যে কাঁঠালটি স্থানীয় বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১০-১৮ টাকায় তা ঢাকার বাজারে গিয়ে বিক্রি হচ্ছে ৫০-৭০ টাকায়। এ অবস্থায় প্রায় আড়াইশ কাঁঠাল নিয়ে তিনি পড়েছেন বিপাকে। প্রতিদিন এক-দুই ভ্যান কাঁঠাল বাজারে আনছেন তবে তা বিক্রি করে ভ্যান ভাড়াই উঠছে না ঠিকমতো।

চাষীরা আরও জানান, কাঁঠালের চাহিদাও কমে গেছে। তাই বাজারে ভালো দর মিলছে না। তবে এমন পরিস্থিতির সুযোগ নিয়েছে মধ্যস্বত্বভোগীরা। তারা কম দামে কাঁঠাল কিনে ঢাকার বাজারে বেশি দামে বিক্রি করে লাভের মুখ দেখলেও লোকসান গুনতে হচ্ছে বাগান মালিক-চাষীদের।

আর ব্যাপারীরা বলছেন, গাড়ি ভাড়া থেকে শুরু করে প্রতিটি ক্ষেত্রেই খরচ বেড়েছে অনেক। এ কারণেই মূল্যের এই ব্যবধান। ঘাটাইলের সাগরদিঘী বাজারের এক কাঁঠাল ব্যাপারী বলেন, গাড়ি ভাড়া এবং শ্রমিক খরচ মিটিয়ে ঢাকায় ৫০ টাকা দরে কাঁঠাল বিক্রি করেও তেমন লাভ হচ্ছে না তাদের। কারণ হিসেবে পরিবহনসহ আনুষাঙ্গিক খরচ বেড়ে যাওয়াকে দায়ী করেন তিনি।

প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা গড়ে তোলা সম্ভব হলে তবেই এ অঞ্চলের কাঠালের বাজারমূল্য পাওয়া যাবে বলে জানাচ্ছে কৃষি বিভাগ।

টাঙ্গাইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল হাশিম বলেন, কৃষকরা ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না। অনেক কম দামে কাঁঠাল বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। মধ্যস্বত্বভোগীরাও সুযোগ নিচ্ছে। টাঙ্গাইলে যদি কোনো প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র গড়ে তোলা যেতো তাহলে বাগান মালিকরা কাঁঠাল বিক্রি করে লাভবান হতে পারতো।