বিশ্বখ্যাত ম্যাগাজিন টাইমের বিচারে ‘পার্সন অব দ্য ইয়ার’ নির্বাচিত হয়েছেন মাত্র ১৬ বছর বয়সী পরিবেশবাদী কিশোরী গ্রেটা থানবার্গ।
জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে বাস্তব পদক্ষেপ এড়াতে বিশ্ব নেতাদের দায়িত্বহীন আচরণ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে আসছেন গ্রেটা থানবার্গ।
এর আগে জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনে বক্তব্যে গ্রেটা বলেন, আগামী দশকে আমাদের গ্রহের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ হয়ে যাবে।
গ্রেটা থানবার্গ সুইডেনের অধিবাসী। জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কাজ মাত্র ১৬ বছর বয়সে পুরো পৃথিবী জুড়ে সাড়া ফেলে দেয় এই কিশোরী। তার ডাকে পরিবেশ রক্ষার আন্দোলনে জড়ো হয়েছেন বিভিন্ন দেশের নানা বয়স ও শ্রেণি-পেশার প্রায় অর্ধকোটি মানুষ।
২০১৮ সালে ১৫ বছর বয়সী গ্রেটা থানবার্গ নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় ২০ আগস্ট সিদ্ধান্ত নেন ক্লাসে না গিয়ে ৯ সেপ্টেম্বরের সাধারণ নির্বাচন পর্যন্ত আন্দোলন করবেন তিনি।
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় উপযুক্ত পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না বলেই প্রকৃতি এত প্রতিকূল হয়ে উঠছে বলে বিশ্বনেতাদের দায়ী করে আন্দোলন করেন তিনি।
গ্রেটার দাবি ছিল, সুইডিশ সরকারকে অবিলম্বে প্যারিস চুক্তির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে দেশে কার্বন নিঃসরণ কমাতে হবে। এজন্য তিনি দেশের পার্লামেন্ট ‘রিকসদাগ’র সামনে টানা তিন সপ্তাহ বসে আন্দোলন করেছেন। হাতে ছিল ‘জলবায়ুর জন্য স্কুল ধর্মঘট’ লেখা প্ল্যাকার্ড। এমনকি তিনি আশপাশ দিয়ে যাওয়া সবাইকে লিফলেটও বিতরণ করছিলেন, যেখানে লেখা ছিল: আমি এটা করছি কারণ তোমরা বড়রা আমার ভবিষ্যৎ ধূলিস্যাৎ করে দিচ্ছো।
গ্রেটার এসব কাজ অনুপ্রাণিত করেছে স্কুলের ছোট ছোট শিশু থেকে শুরু করে বিশ্বের বিভিন্ন বয়সের মানুষকে। তার চেষ্টার জন্য চলতি বছরের শুরুতে গ্রেটাকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্যও মনোনীত করা হয়েছিল।
বিভিন্ন সম্মাননা এবং পরিবেশ বিষয়ক স্কলারশিপ পেয়েছেন গ্রেটা থানবার্গ। তবে একাধিক পুরস্কার তিনি প্রত্যাখ্যান করেছেন, কারণ সেগুলো পেতে হলে তার আকাশপথে সফর করা বাধ্যতামূলক ছিল।
টাইম ম্যাগাজিন তাকে ২০১৮ সালের সবচেয়ে প্রভাবশালী ২৫ কিশোর-কিশোরীর তালিকায় স্থান দিয়েছে। আর এ বছর তাকে বর্ষসেরা ব্যক্তি হিসেবে স্থান দিলো বিশ্বখ্যাত এই ম্যাগাজিন।