টাইম ম্যাগাজিনের পাঠকদের বিবেচনায় বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব নির্বাচিত হয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
রাজনীতি, বিনোদন, ব্যবসা, প্রযুক্তি, বিজ্ঞান, ধর্মসহ বিভিন্ন বিষয়ে সবার্ধিক প্রভাব বিস্তারকারী ১০০ জন ব্যক্তিদের নিয়ে প্রতিবছরই একটি তালিকা প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রের এ ম্যাগাজিনটি। এবারের তালিকায় বাংলাদেশের কোন ব্যক্তিত্বের ঠাঁই হয়নি।
শীর্ষ অবস্থান অর্জনের পথে পুতিন ৬.৯৫ শতাংশ ভোট পান। আপাতদৃষ্টিতে ভোটপ্রাপ্তির হার অনেক কমে মনে হলেও অন্যদের তুলনায় পুতিন বিশাল সমর্থনই লাভ করেন বলা যায়। পুতিনের থেকে সামান্য ভোটের ব্যবধানে একধাপ পিছিয়ে রয়েছেন উত্তর কোরিয়ার পপ তারকা লি শে-রীন। তিনি ‘২এনই১’ দলের সদস্য, যা সিএল নামেই সমাধিক পরিচিত।
তালিকাটির শীর্ষ পাঁচে বিশ্বনেতাদের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে রয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন। এ পর্যায়ে স্থান পাওয়া বাকি সবাই নারী পপ তারকা। এর মধ্যে রয়েছেন লেডি গাগা (২.৬%), রিহানা (১.৯%) এবং টেইলর সুইফট (১.৮%)।
এই নির্বাচনটি টাইম পাঠকদের সাংস্কৃতকি এবং রাজনৈতিক প্রবণতা বিষয়ে একটি অস্পষ্ট ধারণাই সৃষ্টি করে। কারন পুতিন কোন পপ আইকন নন। তবে তাকে শার্টবিহীন দেখতে বিশ্ববাসীর একটি তীব্র আসক্তি রয়েছে!
পুতিন ছাড়া বিনোদন জগতের বাইরে শীর্ষ দশে অন্যান্যদের সধ্যে রয়েছে দালাই লামা (১.৭%), মালালা ইউসুজাই (১.৬%), এবং পোপ ফ্রান্সিস (১.৫%)। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা (১.৪%) এবং মিশেল ওবামা (১.২%) শীর্ষ দশে জায়গা পাননি।
তালিকায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং l দিল্লীর মূখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের স্থান থাকলেও তারা খুবই কম ভোট পান। তাদের ভোটপ্রাপ্তির হার ছিলো যথাক্রমে ০.৬ শতাংশ এবং ০.৫ শতাংশ।
টাইম ম্যাগাজিনটির সম্পাদকদের পছন্দ অনুযায়ী ব্যক্তিদের তালিকা প্রস্তুত করা হয়। তবে এর পাঠকদের মতামত প্রদানের সুযোগ দিতে ভোটের ব্যবস্থাও রয়েছে, যা তালিকায় খুব একটা পরিবর্তন আনে না। এ বছরের তালিকাটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হবে আগামী ১৬ এপ্রিল। গত ১০ এপ্রিল পর্যন্ত পাঠকদের ভোটদানের সুযোগ ছিলো ।
টুইটার, ফেসবুক এবং নিজস্ব ওয়েবসাইটে ম্যাগাজিনটি ভোট গ্রহণ করে। কতজন ভোটার এতে অংশ নিয়েছে তা নিশ্চিত না করলেও ৫৭ শতাংশের বেশি ভোটার যুক্তরাষ্ট্রের অধিবাসী।