চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ঝুঁকি ও ব্যয় কমাতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে স্থানীয় মুদ্রা ব্যবহারের পরামর্শ

পণ্য আমদানি এবং রপ্তানিকারক দেশগুলোর মধ্যে সরাসরি নিজেদের মুদ্রা বিনিময়ের সুযোগ থাকলে ঝুঁকি এবং বাণিজ্যিক খরচ দুটোই কমে আসে। কিন্তু ডলারের বিকল্প না থাকায় বাংলাদেশে একক আধিপত্য বিস্তার করছে মার্কিন ডলার। ফলে বাণিজ্যিক ঝুঁকি দিন দিন বাড়ছে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুরে বিআইবিএম অডিটোরিয়ামে ‘বাণিজ্যে মার্কিন ডলারের ব্যবহার এবং এর বিকল্প’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন ব্যাংক খাতের বিশ্লেষকরা।

আলোচনা সভায় গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বিআইবিএম’র অধ্যাপক ড. শাহ মোহাম্মদ আহসান হাবীব। এতে তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী মার্কিন ডলারের শক্তিশালী হওয়ার কতগুলো কারণের মধ্যে তাদের আত্মবিশ্বাস, বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্যতা এবং অর্থনীতির আকার অন্যতম।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডলারের বিকল্প কোন মুদ্রা এ মুহূর্তে নেই। তবে নির্দিষ্ট কয়েকটি দেশের ক্ষেত্রে সেই সব দেশের নিজস্ব মুদ্রা ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। যা লেনদেনের খরচ অনেকাংশে কমিয়ে আনবে।

বৈঠকে বিআইবিএমর নির্বাহী কমিটির সভাপতি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস এম মনিরুজ্জামান বলেন, ২০১৯ সালে আমদানির ক্ষেত্রে ৮৯ শতাংশ ডলারের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। তবে এক দশকে আমদানি লেনদেনের ৮৫ শতাংশ ডলারের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। রপ্তানির ক্ষেত্রে লেনদেনের ৯৭ শতাংশ ডলারের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। তবে এটা শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা বিশ্বে একই ধরণের চিত্র।

তিনি বলেন, আর্ন্তজাতিক বাণিজ্যের লেনদেনের ক্ষেত্রে এ মুহূর্তে ডলারের বিকল্প মুদ্রা ব্যবহার করা সম্ভব না হলেও আলোচনা অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে ইতিবাচক ফল পাওয়া যাবে।

বিআইবিএম’র মহাপরিচালক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মহা. নাজিমুদ্দিন বলেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে সরাসরি মুদ্রা ব্যবহার করলে খরচ কমবে। এতে ডলারের ওপর চাপ কিছুটা কমবে। কিন্তু এখনও ডলারের বিকল্প কোন মুদ্রা বাজারে চালু নেই।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক এবং বিআইবিএমর সাবেক সুপার নিউমারারি অধ্যাপক মো. ইয়াছিন আলি বলেন, পারিপার্শ্বিক দিক বিবেচনায় বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ডলার ব্যবহারই নিরাপদ। তবে ডলারের বিকল্প হিসেবে অন্য কোন মুদ্রা ব্যবহার লাভজনক হলে তা উৎসাহিত করা যেতে পারে।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিআইবিএমর মহাপরিচালক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মহা. নাজিমুদ্দিন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিআইবিএমর অধ্যাপক এবং পরিচালক (গবেষণা, উন্নয়ন ও পরামর্শ) ড. প্রশান্ত কুমার ব্যানার্জ্জী।