ঝিনাইদহের একজন নারী। ভিক্ষা করে অনেক কষ্টে সংসার চালাতেন। এখন তার একটি ছোট দোকান আছে। নিজমুখেই বললেন, দোকান চালিয়ে আগের চেয়ে অনেক সুখে আছেন তিনি।
তৃতীয় জাতীয় উন্নয়ন মেলা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের সব জেলা-উপজেলায় উন্নয়ন মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই ভিডিও কনফারেন্সেই ঝিনাইদহ জেলা থেকে এক পুনর্বাসিত নারী প্রধানমন্ত্রীকে এসব কথা জানান।
সরকারের পুনর্বাসন ও উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে সহায়তায় বর্তমানে ওই নারী ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে দোকানদারি করেন। এ কথা জানিয়ে বৃহস্পতিবার শেখ হাসিনাকে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আপা আপনারে অনেক ধন্যবাদ। দোয়া করি আল্লায় বাঁচায় রাখুক আপনারে। ওরা আমারে একটা দোকান দিয়েছে। সেই দোকানি করেই টুকটাক দিয়ে চলছি। এখন আর ভিক্ষে-মিক্ষে করছিনে আমি।’
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভিক্ষা করবেন কেন? আপনাকে যেন ভিক্ষা করতে না হয় আমরা সেই ব্যবস্থাই করছি।’
আপনার ছেলেমেয়ে কয়জন – প্রধানমন্ত্রীর এই প্রশ্নে কেঁদে ফেলেন ওই নারী। জানান, দুই ছেলে এক মেয়ে একাত্তরে হারিয়েছেন তিনি। শুধু একটা মেয়ে বেঁচে আছে। ‘আমি খুব অসহায়।’ এ কথা শুনে বাকহারা হয়ে যান প্রধানমন্ত্রী।
তখনই প্রধানমন্ত্রীকে আবারও ধন্যবাদ জানিয়ে পুনর্বাসিত সেই নারী বলেন, ‘আপনি আমার জন্য দোয়া করেন, আমিও আপনার জন্য দোয়া করি।’ প্রধানমন্ত্রীও আরও একবার তাদের সুযোগ সুবিধা দেখার আশ্বাস দিয়ে তাকে বিদায় জানান।
উন্নয়ন মেলার উদ্বোধনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে সম্মানজনক অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যেই গ্রামের সাধারণ মানুষ বিশেষ করে তৃণমূল পর্যায় ও দেশের সার্বিক উন্নয়নেই কাজ করা হচ্ছে। উদ্বোধনীতে উন্নয়ন কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে যাতে পরিচালিত হয় সেজন্য সবার সহযোগিতা দরকার বলেও জানান তিনি।
ভিডিওতে দেখুন প্রধানমন্ত্রী আর ঝিনাইদহের সেই নারীর বিস্তারিত কথোপকথন: