মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে প্রথম ম্যাচে স্বাভাবিক জয় দিয়েই তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু করেছে মাশরাফি বাহিনী। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৪৬ রানের বড় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এ জয়ের মধ্য দিয়ে চলতি বছর ষোল ওয়ানেডেতে এগারোতম জয় তুলে নিল টিম টাইগার্স। মুশফিকের সেঞ্চুরির পর পাঁচ উইকেট নেন সাকিব আল হাসান।
টাইগারদের দেওয়া ২৭৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দেখেশুনেই শুরু করেছিলেন জিম্বাবুয়ে ওপেনার চিবাবা ও জংউয়।তবে বাংলাদেশী পেসার কাটার মুস্তাফিজ, আল-আমিন আর স্পিনার আরাফাত সানির নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নিজেদের গুটিয়ে রাখতে এক প্রকার বাধ্য হয় জিম্বাবুয়ানরা।
তবে টাইগারদের উইকেট খরা কাটিয়ে দেন বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। চিবাবা তুলে দারুণ এক ব্রেক থ্রু দেন তিনি। দলীয় ৪০ রানে লিটনের হাতে ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে ফেরান চিবাবাকে। আট রান পরেই আবারো সাকিব ভেলকি। ক্রেইগ আরভিন মিডঅফে নাসিরের হাতে ধরা পড়েন। দলীয় ৫৪ রানের মাথায় এক বছর পর ক্রিকেটে ফিরে আল আমিন দখল করেন জংউইয়ের উইকেট।
৬৫ রানে শেন উইলিয়ামসকে সরাসরি বোল্ড করেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। সাকিবকে কাট করতে গিয়ে বোল্ড হন উইলিয়ামস। সাকিব ঘূর্ণি শেষ না হতেই জ্বলে ওঠেন অধিনায়ক মাশরাফি। তার জোড়া আঘাতে ফিরে যান সিকান্দার রাজা ও ম্যালকম ওয়ালার। সিকান্দার রাজাকে মুশফিকের কাছে ক্যাচ বানিয়ে আর ম্যালকম ওয়ালারকেও নাসিরের হাতে তালুবন্দি সাজঘরের পথ দেখান অধিনায়ক মাশরাফি।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ক্রিজে ধুকতে থাকে জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানরা। শেষ পর্যন্ত তাদের ইনিংস থামে ১২৮ রানে। টাইগারদের পক্ষে পাঁচটি উইকেট নেন সাকিব, দুটি নেন মাশরাফি।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার পরেও মুশফিকুর রহিমের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি আর মারকুটে ড্যাশিং ব্যাটসম্যান সাব্বিরের অর্ধশতকে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে নয় উইকেটে ২৭৩ রান সংগ্রহ করে টাইগাররা।
দলের বিপযয়ে মুশফিক প্রথমে তামিম কে নিয়ে গড়েছিলেন ৭০ রানের জুটি, পরে সাব্বিরকে নিয়ে গড়লেন মহামূল্যবান ১১৯ রানের জুটি। মুশফিকুর রহিম তুলে নেন ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি, ১০৪ বলে নয়টি চার ও একটি ছয়ে করেন ১০৭ রান।
তাকে যোগ্য সার্পোট দেওয়া তরুণ তুর্কি সাব্বির তুলে নেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় অর্ধশতক। তিনি করেন ৫৭ রান।এছাড়া ওপেনার তামিম করেন ৪০ রান। শেষদিকে অধিনায়ক মাশরাফি মতুর্জার ৮ বলে এক চার এক ছয়ে ১৪ রান এবং স্পিনার আরাফাত সানির ৮ বলে তিনটি চারে ১৩ রান টাইগারদের সম্মানজনক স্কোরে পৌছে দেয়।