টানা দুই ম্যাচে হারের পর জয়ের দেখা পেয়েছে জেমকন খুলনা। সাকিব-মাহমুদউল্লাহরা ৩৭ রানে হারিয়েছে মুশফিকের বেক্সিমকো ঢাকাকে।
বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি কাপে ভালো দল গড়লেও হতাশ করছে ঢাকা। টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম তিন ম্যাচেই পেয়েছে হারের তিক্ত স্বাদ।
খুলনাকে ১৪৬ রানে আটকে রেখে জয়ের আশা জাগিয়েছিল ঢাকা। ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় হারের বৃত্ত ভাঙতে পারেনি তারা। অধিনায়ক মুশফিক ব্যাট হাতে কিছুটা লড়াই করেছেন। সেটা যথেষ্ট ছিল না। ৪ বল আগেই ঢাকা গুটিয়ে যায় ১০৯ রানে।
খুলনা-১৪৬/৮ (২০ ওভার), ঢাকা-১০৯/১০ (১৯.২ ওভার)
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৭ রান আসে মুশফিকের ব্যাটে। ১৪ রানে শুরুর ৩ উইকেট হারিয়ে বসায় তাকে খেলতে হয়েছে বুঝেশুনে। তার ৩৫ বলের ইনিংসে ছিল পাঁচ চারের মার।
চতুর্থ উইকেট জুটিতে ইয়াসির আলি রাব্বিকে নিয়ে কিছুটা লড়াই করেন মুশফিক। দুজন মিলে যোগ করেন ৫৭ রান।
ইয়াসির সাজঘরে ফেরেন ২১ রান করে। জুটি ভাঙার পর মুশফিকও টিকে থাকতে পারেননি বেশিক্ষণ। মিডলঅর্ডারে তারা ছাড়া দুঅঙ্ক ছুঁতে পারেননি আর কেউ।
ব্যাটসম্যানদের বেধে রাখেন সাকিব আল হাসান। ব্যাট হাতে হতাশ করলেও তিনি বল হাতে ছিলেন দুর্দান্ত। ৪ ওভারে মাত্র ৭ রানে নেন একটি উইকেট।
দলের জয়ে বল হাতে বড় অবদান রেখেছেন শুভাগত হোম। অফস্পিনার ৩.২ ওভারে ১৩ রানে নেন ৩ উইকেট। প্রথম ওভারেই নেন তানজিদ হাসান তামিমের উইকেট। পরে ফেরান মুশফিককে। শফিকুলকে আউট করে শেষের পেরেকটিও তিনিই ঠোকেন।
তিন উইকেট নিয়েছেন শহিদুল ইসলাম। খুলনার আরেক পেসার হাসান মাহমুদ নিয়েছেন দুই উইকেট।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা খুলনা ৩০ রানে হারায় ৩ ব্যাটসম্যানকে। আজও ওপেনিংয়ে নামা সাকিব করেন ১১ রান। তার আগেই সাজঘরে ফিরে যান নিয়মিত ওপেনার এনামুল হক বিজয় (৫)।
বিপর্যয়ের মুখে প্রতিরোধ গড়েন ইমরুল কায়েস ও অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দুজনের চতুর্থ উইকেট জুটিতে আসে ৫৬ রান।
২৭ বলে ২৯ রান করে আউট হন ইমরুল। মাহমুদউল্লাহর লড়াই আরেকটু দীর্ঘ হয়। করে যান ৪৫ রান। আউট হন ইনিংসের শেষ ওভারে।
আরিফুল হকের ১১ বলে ১৯ ও শুভাগতর ৫ বলে অপরাজিত ১৫ রানের ইনিংসে ভর করে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রান তোলে খুলনা।
দুর্দান্ত বোলিং করেছেন রুবেল হোসেন। পেসার ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে তুলে নেন ৩ উইকেট। টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটে অভিষেক ঘটা তরুণ বাঁহাতি পেসার শফিকুল ইসলাম ২টি উইকেট নেন। নাসুম আহমেদ নেন একটি উইকেট, বাঁহাতি স্পিনার বিনিময়ে ৪ ওভারে দেন মাত্র ১০ রান।