আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। বুধবার ভোরে মাউরো ইকার্দি ও পাওলো দিবালার গোলে মেক্সিকোকে ২-০ গোলে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। আর রিশার্লিসনের একমাত্র গোলে ক্যামরুনকে হারায় ব্রাজিল।
মেক্সিকোর বিপক্ষে আর্জেন্টিনা যেমন পরপর দুটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলল। ব্রাজিলও ঠিক তাই। তারা পরপর দুই ম্যাচ খেলল ক্যামেরুনের বিপক্ষে। উভয় ম্যাচের ফলাফলই একই। প্রথম ম্যাচে মেসিহীন আর্জেন্টাইনদের জয় ছিল ২-০ গোলের। এবারও তাই। ব্রাজিলও প্রথম ম্যাচ জিতেছিল নেইমারের একমাত্র পেনাল্টি গোলে।
ম্যাচ জিতলেও ম্যাচের শুরুতে ইনজুরিতে পড়ে মাঠ ছেড়েছেন সেলেসাওদের সেরা তারকা নেইমার। তার বদলে মাঠে নামেন রিশার্লিসনই অবশ্য গোলটি করেন।
ম্যাচের ৫ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো ব্রাজিল। অ্যালেক্স সান্দ্রোর পাস থেকে দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে দারুণ এক শট নিয়েছিলেন অ্যালান। সেই শট ফিরিয়ে দেন ক্যামেরুন গোলরক্ষক আন্দ্রে ওনানা। পরের মিনিটে নেইমারের দূরপাল্লার শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। সেই শটের পর ঊরুতে টান লাগে নেইমারের। প্রাথমিক চিকিৎসার পর শেষ পর্যন্ত মাঠই ছাড়তে বাধ্য হন তিনি।
ম্যাচের ২১ মিনিটে ডি-বক্সের মধ্যে গোলরক্ষককে একেবারে একা পেয়ে গিয়েছিলেন রবার্তো ফিরমিনো। তার শটও ফিরিয়ে দেন সেই গোলরক্ষক ওনানাই। ৪৫তম মিনিটে ব্রাজিলকে আর আটকে রাখতে পারেননি ওনানা। কর্নার থেকে আসা বলে লাফিয়ে উঠে দারুণ এক হেডে জাল খুঁজে নেন রিশার্লিসন।
বিরতির পরে ৫২তম মিনিটে গোল শোধ করার দারুণ সুযোগ হাতছাড়া করে ক্যামেরুন। কার্ল তোকো একাম্বাইয়ের ক্রসে ফাঁকায় ঠিকভাবে পা ছোঁয়াতে পারেননি স্টিফেন বাহোকেন। পরের মিনিটে বদলি গোলকিপার জোসেফ ওন্দোয়ার ভুলে একেবারের ফাঁকায় বল পেয়ে গিয়েছিলেন গ্যাব্রিয়েল জেসাস। কিন্তু তার শট বারে লেগে ফিরে আসে।
ম্যাচের ৬০ মিনিটে দানিলোর শট অল্পের জন্য লক্ষ্যে থাকেনি। আট মিনিট পর আর্থার মেলোর শট বারে লেগে ফিরে না আসলে ব্যবধান বাড়াতে পারতো ব্রাজিল। ৮৭ মিনিটে ফাঁকায় শট নেওয়ার সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি সান্দ্রো। শেষ পর্যন্ত আর গোল করতে পারেনি কোনো দলই।
অন্যদিকে, ম্যাচের শুরুতেই গোল করেন ইন্টার মিলানের ফরোয়ার্ড ইকার্দি। আর শেষদিকে সিরি অ’রই আরেক ফরোয়ার্ড দিবালা জাল খুঁজে নেন। ফলে ভারপ্রাপ্ত কোচ লিওনেল স্কোলানির অধীনে ছয় ম্যাচে চতুর্থ জয় তুলে নিতে পারে আর্জেন্টিনা।
আগের ম্যাচের একাদশে নয়টি পরিবর্তন এনেছিলেন কোচ। শুরুকে রেখেছিলেন কেবল ফুনেস মোরি আর মার্কোস আকুনাকে। তবে আর্জেন্টিনা পেয়ে যায় ভালো শুরু।
ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে এরিক লামেলার ক্রস থেকে দলকে এগিয়ে দেন ইকার্দি। জাতীয় দলের হয়ে অষ্টম ম্যাচে এসে গোল পেলেন তিনি। আর ৮৭ মিনিটে ডিয়েগো সিমিওনের ছেলে জিওভান্নি সিমেওনের বাড়ানো বল থেকে বদলি হিসেবে নামা দিবালা গোল করেন।
রাতের অন্য প্রীতি ম্যাচে ইতালি ১-০ গোলে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ৩-০ গোলে লেবানন, সাউথ কোরিয়া ৪-০ গোলে উজবেকিস্তান, জাপান একই ব্যবধানে কিরগিজস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরাত ২-০ গোলে ইয়েমেন, মরক্কো ১-০ গোলে তিউনিসিয়া, আলবেনিয়া ১-০ গোলে ওয়েলস, চিলি ৪-১ গোলে হন্ডুরাস, কোস্টারিকা ৩-২ গোলে পেরু ও ইকুয়েডর ২-১ গোলে পানামাকে হারায়।
এছাড়া চীন-ফিলিস্তিন ১-১, নাইজেরিয়া উগান্ডা গোলশূন্য, ইরান-ভেনেজুয়েলা ১-১, ইরাক-বলিভিয়া গোলশূন্য, সৌদি আরব-জর্ডান ১-১, সাউথ আফ্রিকা-প্যারাগুয়ে একই ব্যবধান ও তুরস্ক-ইউক্রেন গোলশূন্য ড্র করেছে।