‘কিছু কাজ থাকে, যেটা আসলে সৃষ্টিশীল, বাণিজ্য কিংবা শিল্পমানকেও ছাপিয়ে যায়। যাকে আমি বলি, জীবনের জন্য শিল্প। কিছু থাকে আবার শিল্পের জন্য শিল্প। যা সচরাচরই করছি। হচ্ছেও চারপাশে। এবারের কাজটা তেমন কিছু নয়। এটি করেছি সব কিছুর ঊর্ধ্বে উঠে একজন মানুষ হিসেবে, মানবিক দায়বদ্ধতা থেকে। সোজা ভাষায় কাজটি আমার জীবনের জন্য করা।’ বললেন জয়া আহসান, ‘ভালবাসার শহর: দ্য সিটি অব লাভ’ ছবিটি নিয়ে। এবারই প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি।
কথা ছিল, গত বছর ঈদে ছবিটি দেখতে পাবেন দর্শক। না, নানা কারণে তখন তা সম্ভব হয়নি। এবার হবে। জয়া আহসান আজ বৃহস্পতিবার সকালে জানালেন, আগামীকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে ইউটিউবে দেখা যাবে এই স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবিটি। ছবিটি তৈরি হয়েছে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী দর্শকদের জন্য।
পরিচালক ইন্দ্রনীল রায় চৌধুরী বললেন, ‘যেখানে আমরা বাস করি, সেই শহরের সঙ্গে যখন আমরা জড়িয়ে যাই, তখন কোথায় যেন এই শহর আর আমাদের জীবন এক হয়ে যায়। ঘটনাটা কলকাতায় ঘটে, তখন কলকাতাকে ভালোবাসার শহর বলে মনে হয়, অন্তত ছবিটা যতক্ষণ চলে। তারপর আস্তে আস্তে বোঝা যায়, আসলে কলকাতা নিয়ে ছবিটা হচ্ছে না, ছবিটি বিশ্বের সব শহরের সব নাগরিকদের কথা বলছে।’
ছবির গল্পটি একটু অন্যরকম। অন্নপূর্ণা জানে, চার বছর পর তারা ফিরে আসবে কলকাতায়। তখন তারা আর দু’জন নয়, তিনজন। কিন্তু না। ২০১১ সালে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে হোমস বিধ্বস্ত হওয়ার মর্মান্তিক ঘটনার আবর্তে জড়িয়ে পড়ে অন্নপূর্ণা, আদিল আর তাদের শিশুকন্যা নুরি। আদিল ছিটকে যায় কোথায়। আর আহত নুরিকে নিয়ে কোনো মতে কলকাতা ফিরে আসে অন্নপূর্ণা। তারপর? কোথায় নিয়ে যায় তাদের ভালবাসার শহর? যে শহরকে ভালবেসে অন্নপূর্ণা ফিরতে চেয়েছিল, সেই শহর কি তাকে দিতে পারবে পাল্টা ভালবাসার উত্তাপ? নাকি হারিয়ে যাবে অন্নপূর্ণা আর তার অসুস্থ মেয়েটি?
এমনি নানা প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছেন পরিচালক ইন্দ্রনীল রায় চৌধুরী তার ‘ভালবাসার শহর’ ছবিতে। এর আগে তিনি ‘ফড়িং’ ছবিটি তৈরি করেন। এছাড়া জি-বাংলা সিনেমা চ্যানেলে দেখানো হয়েছে একই পরিচালকের ‘একটি বাঙালি ভূতের গপ্পো’ ছবিটি। এই ছবিতেও অভিনয় করেন জয়া।
‘ভালবাসার শহর: দ্য সিটি অব লাভ’ ছবিতে অভিনয় করেছেন জয়া আহসান, ঋত্বিক চক্রবর্তী, সোহিনী সরকার, অরুণ মুখোপাধ্যায় প্রমুখ।